কলকাতা: দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হল আনিস খানের মৃতদেহের। কবর থেকে ছেলের দেহ তোলার বিষয়ে রবিবারই সম্মতি দিয়েছিলেন আনিসের বাবা। সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয় তৎপরতা। অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হল ছাত্রনেতার দেহের। চার ঘণ্টা ধরে চলে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত। এদিন রাতেই এসএসকেএম থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় দেহটি। ১০টার মধ্যে তা আমতায় পৌঁছেও যায়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আমতায় নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। আনিস খানের আইনজীবী বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বারাসতের জেলা জজের উপস্থিতিতেই ময়না তদন্ত হল। আমিও ছিলাম। কিছুটা দেরীতেই শুরু হয়। আরেকটু আগে হলে ভাল হত।”
কখনও কাকভোরে ময়না তদন্তে পৌঁছে যাওয়া, কখনও আবার হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও জেলা জজ ছাড়াই দেহ তোলার কাজ শুরু করা। আনিস খানের রহস্যমৃত্যু তদন্তে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে পুলিশ ও সিট। তুমুল বাধা বিক্ষোভের পর অবশেষে সোমবার দ্বিতীয়বারের ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে আনিস খানের দেহ তোলে সিট। আনিসের পরিবারের সম্মতি নিয়ে সোমবার সকালেই আমতা পৌঁছন সিট সদস্যরা। কিন্তু সেখানে নতুন বিড়ম্বনা তৈরি হয়।
কলকাতা হাইকোর্ট তাদের নির্দেশে স্পষ্ট বলেছিল একজন জেলা জজের উপস্থিতিতে গোটা ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া সারতে হবে। কিন্তু এদিন সিটের সদস্যরা যখন পৌঁছয়, সেই দলে দেখা যায়নি জেলা জজকে। পরে তাঁকে খবর দেওয়া হলে আসেন তিনি। এরপর দেহ তোলার কাজ শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে কেন ছাত্রনেতার রহস্যমৃত্যুতে বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছে সিট?
শনিবার কাকভোরে আনিসের মৃতদেহ আনতে গিয়েছিল সিট। হাইকোর্টের এমন কোনও নির্দেশও ছিল না। তবু কেন ভোর ৫টায় কবর থেকে দেহ তুলতে গেল তদন্তকারীরা, প্রশ্ন তুলে আপত্তি জানায় আনিসের পরিবার ও গ্রামের লোকজন। পরিস্থিতি এমন হয়, পিছু হঠে সিট। একইসঙ্গে সিটের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে, এই নিয়ে আমতার আগের ওসিকে পাঁচবার ডেকে ফেলেছে সিট। কিন্তু কেন এখনও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশসুপার সৌম্য রায়কে ডাকা হল না?
আরও পড়ুন: Covid Restriction: আজই সংক্রমণে নতুন রেকর্ড বাংলার, নবান্ন থেকে জারি হল বিধিনিষেধের নয়া নির্দেশিকা