কলকাতা : এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্মেলন আর সেখানেই উঠে আসবে বাংলার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের নাম। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে এ রাজ্যে বারবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামেরা। ‘ইনসাফ’ সভা করে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আনিস খানের বাবাকেও। আর এবার সর্বভারতীয় সম্মেলনের নামকরণে জায়গা পেলেন আনিস খান। আগামী ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বরে হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্মেলন। সেখানেই বিভিন্ন প্রসঙ্গে ঘুরে ফিরে আসবে হাওড়ার আমতার দক্ষিণ সারদা গ্রামের আনিসের নাম।
কেরলের দুই শহিদ ছাত্র নেতার সঙ্গে মঞ্চের নামকরণে ঠাঁই পেয়েছেন আমতার সালেম খানের প্রয়াত পুত্র আনিস। মঞ্চের নামকরণ হল কেরল আর বাংলার ছাত্রের নামে। সে অর্থে কখনও কোনও বড় পদে ছিলেন না আনিস, এসএফআই-এর সামনের সারির নেতা হিসেবেও তেমন পরিচিত মুখ ছিলেন না তিনি। তারপরেও কেরলের প্রয়াত দুই ছাত্র নেতার সঙ্গে দলের ১৭ তম সম্মেলনে সম্মান দেওয়া হল বাংলার এই ছাত্রনেতাকেও। এবার মঞ্চের নাম হবে অভিমন্যু-ধীরজ-আনিস খান মঞ্চ।
রাজ্যে সাম্প্রতিক একাধিক ভোটে দেখা গিয়েছে, ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছে বামেরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম ‘শূন্য’ হওয়ার পরে দলের অন্দরেও ধাক্কা খেয়েছে বাংলার বামেরা। বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষিণি লবির কাছে কোণঠাসা হতে হয়েছে বঙ্গ রলবিকে। তবে ছাত্রদের সম্মেলনে আনিসের নামে মঞ্চের জায়গা পাওয়ার সঙ্গে এটাও প্রমাণিত হচ্ছে সিপিএমের অন্দরে হয়ত ধীরে ধীরে জমি ফিরে পাচ্ছে বাংলা। সে ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে সাম্প্রতিক কালে সিপিআইএমের বিভিন্ন স্তরের কর্মসূচির সফল রূপায়ণ, তেমনই মত রাজনীতির কারবারিদের।
আমতার এই ছাত্রনেতার মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছিল আনিসকে। আর পুলিশের দাবি, ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আনিস খানের। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বামেরা একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তবে, মাস খানের আগে ধর্মতলায় যে ইনসাফ সভার আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে নতুন করে শক্তি প্রদর্শন করে বামেরা। মীনাক্ষী, প্রতীকুরদের নেতৃত্বে কার্যত পুলিশের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই সেই সভায় বিপুল জনসমাগম হয়। মঞ্চে ছিলেন আনিসের বাবা সালেম খানও। আনিসের মৃত্যুর বিচার চেয়ে সেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।