কলকাতা: উপভোটের আবহে বাংলার রাজনীতিকে এক অন্য আঙ্গিক। দুদিন আগেই ভোটের প্রচারে শাসকদলের হয়ে সরাসরি পথে নামতে দেখা গিয়েছিল বাংলার তিন প্রধান ও IFA-কে। নৈহাটি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে-র প্রচারে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান কর্তারা। এদৃশ্য বাংলার রাজনীতিতে এর আগে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল, তা স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারেননি তাবড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এবার কি সেই আঙিনায় পা রাখল CAB-ও?
CAB টুর্নামেন্টের আসরে কর্তাদের সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। CAB শীর্ষকর্তাদের পাশে দাঁড়িয়েই সংবর্ধনা নেন তিনি। আর এখানেই দানা বাঁধল বিতর্কের। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দলের কয়েকটি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ ছাড়া সে অর্থে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক মঞ্চে পা রাখেননি অনুব্রত। একেবারে অরাজনৈতিক একটি মঞ্চে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই ভোট আবহে এক গুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার CAB-র আন্তঃজেলা টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সংবর্ধিত হন অনুব্রত মণ্ডল। CAB-র সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই অনুব্রতর। অন্তত খাতায় কলমে। এমনকি বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনও পদেও নেই তিনি। তা সত্ত্বেও মঞ্চ আলো করে থাকলেন। গলার পরলেন উত্তরীয়ও। তাও আবার CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
বীরভূমের ডিএসএ গ্রাউন্ডে সিএবির আন্তঃজেলা টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে আচমকা কেন অনুব্রত মণ্ডল? তা নিয়েই শুরু বিস্তর জলঘোলা। শুধু তাই নয়, CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও। যদিও CAB-র বক্তব্য, এর সঙ্গে CAB জড়িত নয়। এটা নিতান্তই বীরভূম জেলা সংস্থার বিষয়। CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এই টুর্নামেন্টের আয়োজক বীরভূম। উইনার বীরভূম। আমি , CAB যুগ্ম সচিব, এবং অন্যান্য কর্তারা সবাই সেখানে ছিলাম। ওটা বীরভূম জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। এর সঙ্গে CAB-র জড়িত থাকার কোনও বিষয় নেই।” যতই স্নেহাশিস পাল্টা যুক্তি দিন, CAB-কে কিন্তু এই বিতর্ক থেকে দূরে রাখা যাচ্ছে না।