কলকাতা : রাজনৈতিক হিংসার মামলায় বিধাননগর আদালতে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। বিচারকের সামনে দাবি করলেন তিনি নির্দোষ। ২০১০ সালের ওই মামলায় অভিযুক্ত মোট ১৪ জন এ দিন আদালতে হাজিরে দিয়েছিলেন। অনুব্রতর আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করেন, অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে তাঁর কী বলার আছে। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, বিচারকের সামনে অনুব্রত বলেছেন, ‘আমি নির্দোষ’। বর্ধমানের মঙ্গলকোটে বোমাবাজির ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। আসানসোল জেল থেকে তাই বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়েছিল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে।
২০১০ সালের মার্চ মাসে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ ওঠে মঙ্গলকোটে। সেই সময় রাজ্যে ছিল বামেদের শাসন। বোমাবাজির ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। অনুব্রত-সহ মোট ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে কালনা আদালতে চলছিল সেই মামলা। পরে সেই মামলা চলে যায় বারাসতের সাংসদ-বিধায়কদের আদালতে। বর্তমানে মামলা চলছে বিধাননগর আদালতে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ দিন তাই স্বশরীরে হাজিরা দেন ১৪ জন।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই স্বাক্ষীরা যে বয়ান দিয়েছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই এ দিন অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। সেই কারণেই এ দিনের শুনানিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অভিযুক্তদের।
শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি আছে। শুক্রবার থেকেই শুরু হবে দু পক্ষের সওয়াল-জবাব। সেই পর্বের পর বিচারক রায় দেবেন। তবে অনুব্রতকে আপাতত আর আসতে হবে না আদালতে।
বর্তমানে গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোল বিশেষ আদালতে রয়েছেন তিনি। এ দিন মঙ্গলকোটের ওই মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্যই বিধাননগরে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।