সুজয় পাল: যে হাসপাতালের রিপোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই হাসপাতালই বড় ভরসার কারণ অনুব্রত মন্ডলের জন্য। যে এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্ট পার্থর জন্য বিপদ বাড়িয়েছিল, সেই হাসপাতালের রিপোর্টই হাতিয়ার কেষ্টর জন্য।
কিন্তু প্রশ্ন কেন?
পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়ার পরের রিপোর্ট এইমস ভুবনেশ্বরের সঙ্গে মেলেনি। কিন্তু প্রথমবার সিবিআই-এর নোটিশ পেয়ে প্রথমবার নিজাম প্যালেসে না গিয়ে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ইউনিটে গিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত। তাতেই ‘লাভ’ হয়েছিল।
কারণ, সেইবারও এসএসকেএম-এর রিপোর্ট ঠিক কিনা খতিয়ে দেখার জন্য দিল্লি এইমস-এর দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। রিপোর্ট গিয়েছিল দিল্লি। কেষ্ট ঘনিষ্টমহল সূত্রের খবর, এসএসকেএম-এর সেই রিপোর্টকে ভুল বলে জানায়নি দিল্লি এইমস। মেনে নিয়েছিল কেষ্ট একাধিক শারীরিক কষ্টে ভুগছেন। ফলে সেই রিপোর্টই এখন অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বীরভূম জেলা সভাপতির জন্য। সেইজন্যই তো এই বাজারেও এসএসকেএম- এর দু’কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সিবিআই দফতর থাকলেও সেখানে না যাওয়ার সাহস দেখাতে পারছেন।
সোমবারও যেমন সিবিআই-এর ডাক উপেক্ষা করে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে সোজা ঢুকেছেন হাসপাতালে। অনেকেই বলেছেন, দাদাকে নাকি ওতটা রুগ্ন দেখায়নি। তাইতো সেই রিপোর্টের বলেই দিনের শেষে ডাক্তার দেখিয়ে কলকাতা নয়, বোলপুর যাওয়ার ‘সাহস’ দেখালেন কেষ্ট।
এদিকে, গরু পাচার মামলায় ফের সিবিআই তলব করেছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। বুধবার সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর। হাজিরার নোটিস ই-মেল করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে হেলথ চেক আপের কারণ দেখিয়ে সোমবার সিবিআই হাজিরা এড়ান তৃণমূল নেতা। হাসপাতাল থেকে সোজা বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের তলব। নোটিসের কপি অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতেও পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।