Anubrata Mondal: ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট তো নগণ্য, ‘জমি’দার অনুব্রতর জমি-সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 18, 2022 | 10:01 AM

Anubrata Mondal: TV9 বাংলার হাতে এলে হাটে হাঁড়ি ভাঙার মতো তথ্য।

Anubrata Mondal: ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট তো নগণ্য, জমিদার অনুব্রতর জমি-সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?
অনুব্রত মণ্ডল

Follow Us

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে গড়মিল থেকে গরু পাচার মামলা। একের পর এক দুর্নীতির জালে জড়িয়ে গিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। পার্থর পর অনুব্রত, সব ক্ষেত্রেই সামনে আসছে কোটি কোটি টাকার খেলা। সূত্রের খবর, গরু পাচারের সেফ প্যাসেজ পেতে এনামুল অনুব্রতর মধ্যে বছরে মোটা টাকার ডিল হত। কিন্তু মুনাফার টাকা কোথায় যেত? এই প্রশ্নের খোঁজে গোয়েন্দারা। সেই সময়ে TV9 বাংলার হাতে এলে হাটে হাঁড়ি ভাঙার মতো তথ্য।

এক নজরে অনুব্রতর জমি সম্পত্তি

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল- গয়েশপুর, কালিকাপুর, বোলপুর মৌজায় জমি হাতবদল। অনুব্রতর নামে কমপক্ষে ২১ টি প্লট নথিভুক্ত। বাজার দর কোটি কোটি টাকা।

রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার নথিতেই পরিষ্কার একের পর এক জমি কিনেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

২০১৬ সাল, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় সাড়ে ৮ শতক জমি কিনেছেন অনুব্রত। ডিড নম্বর ০৩০৩০৪৫৮২/২০১৬।

২০১৭ সালে শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন উন্নয়ন পরিষদ এলাকায় জমি হস্তান্তর। অনুব্রত মণ্ডলকে ৩ একর জমি দান করেন শিবানী ঘোষ। ডিড নম্বর ০৩০৩০৮৮৮৮/২০১৭। কিন্তু শিবানী ঘোষ কেনই বা জমি দান করতে গেলেন? সেখানেও ধোঁয়াশা। সেই উত্তর দিতে পারবেন কেষ্টই।

২০১৯ সাল- এবার অবশ্য ক্রেতা থেকে বিক্রেতার ভূমিকায় কেষ্ট। গয়েশপুর মৌজায় শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন এলাকায় ১০ শতক জমি বিক্রি করেন। ডিড নম্বর ০৩০৩০৯২৯৯/২০১৯।

ভোট পরীক্ষায় দলের হয়ে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা এ যাবৎ পালন করে এসেছেন অনুব্রত। গোয়েন্দারামনে করছেন, কেষ্টর যে সম্পত্তির পরিমাণ সামনে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গরু পাচার মামলায় যে অনুব্রতর নাম জড়াতে পারে, ২০২১ সাল থেকেই তার ইঙ্গিত মিলছিল। তাই এই সময়টায় কিছুটা সাবধানী ছিলেন তিনি।

২০২১ সালের নভেম্বরে বোলপুর মৌজায় ৬ শতক জমি কেনেন অনুব্রত। ডিড নম্বর ০৩০৩০৯৬৪২/২০২১। এই বছরেই শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতনের গয়েশপুর মৌজায় জমি বিক্রি করেন। ১০ প্লটে ৩৩ শতক জমি বিক্রি করেন অনুব্রত। গ্রেফতার হওয়ার তিন মাস আগেও জমি কেনাবেচা চালিয়ে গিয়েছেন অনুব্রত।

২০২২ সাল

কালিকাপুর মৌজায় ১৭.৭২ শতক জমি কেনেন অনুব্রত। মে মাসে আবার গয়েশপুর মৌজায় ৮ শতক জমি বিক্রি করেন। গয়েশপুরের ৩ একর জমি ৫২.২৪৫ শতক, বোলপুরে ৬ শতক, কালিকাপুরে ৮.৭৬৬৬ শতক জমি রয়েছে অনুব্রতর।

কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন অনেক। এত জমি কেনার টাকার উৎস কী? একের পর এক জমি কেনার টাকার উৎস কী? তাহলে কি কালো টাকা সাদা করতেই জমি কেনাবেচা? নথি বলছে, শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন এলাকায় সবচেয়ে বেশি জমি বিক্রি। তাহলে এত জমি কিনল কে? কেনই বা অনুব্রত মণ্ডলকে জমি দান করা হল? অনুব্রত মণ্ডলের উত্তরের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।

Next Article