কলকাতা: গরুপাচার মামলায় এবার কেষ্টর জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষকে ইডি তলব। শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। ভোল ব্যোম রাইস মিল সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই রাইস মিলের অন্যতম কর্তা হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতর মেয়ের। সেই রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর করতে ডাকা হয়েছে অনুব্রতর জামাইবাবুকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রয়েছে আধিকারিকদের।
জানা যাচ্ছে, এরকম একাধিক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেফারেন্স হিসাবে নাম রয়েছে কমলাকান্তের। এমনকি সেই সমস্ত ব্যক্তির ব্যাঙ্কের ফর্মও ফিলাপ করেছিলেন কমলাকান্তই। তদন্তকারীদের কাছে সেই তথ্য রয়েছে। কারণ আগেই কমলাকান্তের হাতের লেখার নমুনা খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। ফর্ম ফিলাপে লেখার সঙ্গে মিল রয়েছে কমলাকান্তের হাতের লেখার। ফলে সেই বিষয়েও তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন তাঁর কাছ থেকে। ভুয়ো নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আর সেই অ্যাকাউন্টের ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছেন অনুব্রতর জামাইবাবু, তদন্তকারীদের কাছে এই তথ্যও রয়েছে। কীসের ভিত্তিতে তিনি এই কাজ করতে পারলেন, তার সূত্র পেতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা। টাকার লেনেদেনে তিনি কতটা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, আদৌ হয়েছেন কিনা, সেই উত্তর কমলাকান্তের কাছ থেকে পেতে চাইছেন তাঁরা।
তদন্তকারীরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ছাড়াও পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে কালো টাকা সাদা করেছেন। সেক্ষেত্রে এরকম আরও এক পারিবারিক সূত্র পাওয়া গেল।
এর আগে বিশ্বজ্যোতি নামে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলরকেও তলব করেন ইডি আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, এই বিশ্বজ্যোতি আগে অনুব্রতর বাড়ির পরিচালক ছিলেন, পরে তিনি কাউন্সিলর হন। তাঁরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৬ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। সেই বিশ্বজ্যোতির সঙ্গেও কমলাকান্তের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই বিষয়েও প্রশ্ন করতে চান তদন্তকারীরা।