কলকাতা: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রায় ফিসচুলাই ‘ভিভিআইপি’। হ্যাঁ, এই ফিসচুলার সমস্যার কথা বলে দিল্লি যাত্রা থেকে অব্যাহতি পেতে চেয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে সে সব যুক্তি ধোপে টেকেনি। তবে সেই ফিসচুলার জন্য যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সে খেয়াল রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানিয়েছিল, প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। তার প্রয়োজন না পড়লেও ভিসতারার বিমানে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁর জন্য।
সূত্রের খবর, কেষ্টর ফিসচুলার জন্য বিশেষ ধরনের কুশন ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানে। ফোমের তৈরি গোলাকৃতি কুশন রাখা হয়েছে বিমানের আসনে। তার ওপরেই বসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফিসচুলার ওপরে যাতে কোনও ভাবে চাপ না পড়ে, তাই এই ব্যবস্থা। বলা যেতে পারে, উড়ানে আরামদায়ক আসনেই যাত্রা করছেন কেষ্ট মণ্ডল। আগে ঠিক করা হয়েছিল বিকেলের বিমানেই দিল্লি যাবেন অনুব্রত। কিন্তু, ফিসচুলার জন্যই চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর জন্য আরামদায়ক বিমানের আসনে টিকিট কাটা হয়।
চিকিৎসকেরা ফিট সার্টিফিকেট দিলেও অনুব্রত নিজে বারবার দাবি করেছেন তিনি অসুস্থ। এমনকী মঙ্গলবারও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় ইনহেলার নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে, পরে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে অনুব্রতকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তারপরই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, আসানসোল আদালত দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ার পরই অনুব্রত আদালতে জানিয়েছিলেন, ফিসচুলার সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। ফেটে রক্ত পড়ছে বলেও জানিয়েছিলেন। এ কথা শুনে বিচারক তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও বলেছিলেন। তবে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যেতে জানা যায়, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার কোনও প্রয়োজন নেই। পরে হাইকোর্টেও এই ফিসচুলার কথা বলেছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে শেষমেস সব চেষ্টাই সার! দিল্লি যেতেই হল কেষ্ট মণ্ডলকে।