কলকাতা: রাত থেকে স্ত্রীর সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না স্বামী। বারবার ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি। রাতভর দুশ্চিন্তায় কাটে গোটা পরিবারের। সকাল হতেই নিখোঁজ ওই মহিলার সন্ধানে সব জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন তাঁর আত্মীয়রা। সম্বল বলতে স্বামীর কাছে ছিল মহিলার শেষ ‘লোকেশন’। সেটা ট্র্যাক করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা জানতে পারলেন সেখানেই পড়ে রয়েছে ওই নিখোঁজ (Missing) মহিলার দেহ।
মঙ্গলবার অর্থাৎ দোলের দিন দুপুরে উদ্ধার হল নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত নয়াবাদের বাসিন্দা ডালিয়া চক্রবর্তীর দেহ। জানা গিয়েছে, কারও সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে সোমবার বেরিয়ে ছিলেন ডালিয়া। তারপর আর ফেরেননি। মঙ্গলবার হরিদেবপুরে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ডালিয়ার স্বামী জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ৩ টের সময় বাড়ি থেকে বের হন তাঁর স্ত্রী। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ডালিয়া চক্রবর্তী তাঁর স্বামীকে বলে যান, তিনি হরিদেবপুরে একজনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। কারও কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ডালিয়াকে ফোন করেন তাঁর স্বামী। সেই সময় ডালিয়া চক্রবর্তী তাঁর স্বামীকে জানান, তিনি যেখানে আছেন, সেই জায়গার লোকেশন পাঠাচ্ছেন। কথা মতো লোকেশনও পাঠান তিনি।
তারপর আবার রাত ৯ টার সময় তাঁর স্বামী ফোন করেন, কিন্তু তাঁর দাবি, আর ফোনে পাওয়া যায়নি ডালিয়াকে। ফের রাত ১২ টা নাগাদ ডালিয়ার স্বামী ফোন করেন, তখনও কোনওভাবেই যোগাযোগস করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মৃতার স্বামী।
মঙ্গলবার সকালে ডালিয়ার স্বামী এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ডালিয়ার পাঠানো লোকেশন খুঁজতে শুরু করেন। তাঁরা বুঝতে পারেন হরিদেবপুরের কোনও ঠিকানায় ছিলেন ডালিয়া। সেখানে নোনার মাঠের কাছে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ওখানে একজন মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার পুলিশ যখন মৃত মহিলার ছবি দেখান, তখন চিনতে পারেন ডালিয়া চক্রবর্তী আত্মীয়রা। মঙ্গলবারই তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত করছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।