কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শরীর খারাপ হলে চিকিৎসা করাতে হবে কম্যান্ড হাসপাতালে, নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। অনুব্রতর শরীর খারাপ হলে কীভাবে চিকিৎসা হবে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে বৈঠকে বসেন চিতিৎসকরা। তৈরি হয় মেডিক্যাল বোর্ড। অনুব্রতর বেডের কাছে রাখা হবে না অন্য রোগীকে। তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।
সিবিআই হেফাজতে প্রথম রাত কেটেছে অনুব্রতর। সাত ঘণ্টার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আসার পর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন অনুব্রত। সিবিআই সূত্রে খবর, রাত পৌনে তিনটে সিবিআই দফতরে পৌঁছানোর পর তিনি দৃশ্য়ত ক্লান্ত ছিলেন। তাঁর দৃষ্টি ছিল নির্বাক। গাড়ির ভিতরে অনুব্রতকে বেশ কয়েকবার ক্লান্তিতে হাই তুলতেও দেখা যায়। কিছুটা ভাবলেশহীন চেহারা। ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি রাতে আর খাবার খাননি। সকাল ৯টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে, অনুব্রত ঘুম থেকে ওঠেননি। তাঁর ওষুধ চলছে। খাবার দেওয়ার পর তাঁকে ওষুধ দেওয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে জেরা করবেন।
যে তথ্যগুলি সামনে এসেছে, তার ভিত্তিতেই জেরা হবে। তাঁর দেহরক্ষী সায়গলের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাছাড়াও এই মামলার অন্যতম চক্রী এনামুক হকের কাছ থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলা আদালতে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তবে অনুব্রত এদিন সিবিআই আধিকারিকদের সামনে কতটা মুখ খুলবেন, সেটা সময়ই বলবে।