Anubrata Mondal: শোয়ার জন্য মিলেছে চৌকি, পাশে রাখা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, নিজামে কী ব্যবস্থা অনুব্রতর জন্য?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 12, 2022 | 3:13 PM

Anubrata Mondal: বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর রাতে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে জেরা-পর্ব।

Anubrata Mondal: শোয়ার জন্য মিলেছে চৌকি, পাশে রাখা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, নিজামে কী ব্যবস্থা অনুব্রতর জন্য?
সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা : রাজনীতির ময়দানে অনেতদিন ধরেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নাকি ক্রমশ সম্পত্তি আর দাপট দুটোই ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাঁর। কার্যত বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিনি। কোনও প্রশাসনিক পদে না থেকেও নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতেন তিনি। তাই প্রতিদিন সকাল থেকেই তাঁর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে ভিড় বাড়ত নেতা-কর্মীদের। বৃহস্পতিবারের পর বদলে গিয়েছে সেই ছবিটা। নিজাম প্য়ালেসে চৌকিতে শুয়েই রাত কাটল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর। সূত্রের খবর, একটা গদি পেতে শুতে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।

বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অুনব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বিকেলে তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। দীর্ঘ যান-জট পেরিয়ে প্রায় শেষ রাতে তাঁকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা।

জানা যায়, বোলপুরের বাড়িতে লোকের অভাব ছিল না। জল থেকে খাবার, সবটাই তাঁর মুখের কাছে এগিয়ে দেওয়া হত। দোতলা বাড়িতে পরিচারকের অভাব ছিল না। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে গিয়েছে সে সব।

সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলার একটি ঘরে অুনব্রত মণ্ডলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে শোয়ার জন্য তাঁকে দেওয়া হয় একটি চৌকি। তাতেই গদি পেতে দেওয়া হয়। নিজামে আসার পর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এক চিকিৎসক। এরপর তাঁকে পোশাক বদল করতে দেওয়া হয়। ভোর ৪ টে নাগাদ তিনি ঘুমোতে যান। প্রায় সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে ওঠেন। যেহেতু তিনি অসুস্থ, তাই এসি ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে তাঁর।

রাতে কিছুই খেতে চাননি অনুব্রত। তবে সকালে তাঁকে চা, বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়। ওষুধ খেতে হবে বলে সকালে খাবার খান অনুব্রত। তাঁর চৌকির পাশে একটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রাখা হয়েছে, যাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সামাল দেওয়া যায়। তাঁকে সাহায্য করার জন্য একজন সিবিআই কর্মী রয়েছেন ওই ঘরে। তবে যাঁকে বাড়িতে কার্যত এক গ্লাস জলও নিয়ে খেতে হত না, এক রাতে যে তাঁর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে তা অনুমান করাই যায়। দুপুর ১২ টার পর তাঁকে জেরা করতে শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, গরু পাচার-কাণ্ডের শিকড় খুঁজে বের করতে তাঁর জন্য তীক্ষ্ণ প্রশ্ন সাজিয়েছে সিবিআই।

Next Article