নয়া দিল্লি : কিছুদিন আগেই ‘দলের বিভীষণ’দের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি দাবি করেছিলেন, যাঁরা দলে বিভীষণের মতো কাজ করছেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য তিনি তুলে দেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষের হাতে। আর এবার সরাসরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। সদ্য শেষ হওয়া বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক না পাওয়ায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এবার তিনি দাবি করলেন, বাইরে থেকে লোক এনে বাইক র্যালি করা হলেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানাননি সুকান্ত মজুমদার।
রাজ্য সভাপতির নাম করলেও নাম না করে বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাকেই এ দিন নিশানা করেছেন অনুপম। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোলপুরে বিজেপির সাম্প্রতিক বাইক র্যালির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। অনুপম দাবি করেন, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হওয়া বাইক র্যালিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদেরবেশির ভাগই বোলপুরের বাসিন্দা নন। বিজেপি নেতার দাবি, কয়েকজনকে বাদ দিয়ে বাকিদের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। অনুপম বলেন, ‘যে দিন মিছিল হয়, সে দিন হয়ত আমি বোলপুরে ছিলাম না, কিন্তু তার আগের দিন পর্যন্ত তো ছিলাম! আমি ওখানকার প্রাক্তন সাংসদ, বোলপুরের ছেলে আমি। বাইরে থেকে লোক আনলেন, আর আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে হল না?’
শুধু সুকান্ত নয়, বাংলায় বিজেপি সংগঠন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দুধকুমারদের মতো নেতা, যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে যাঁদের পদ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কাজের নন।
সম্প্রতি কলকাতায় বৈদিক ভিলেজে তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল বিজেপি। রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। কিন্তু অভিযোগ, সেই শিবিরে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অনুপমকে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, অনুপম দাবি করেন, তিনি সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন বলেই তাঁকে কোনও বৈঠকে ডাকা হয়না। তাঁর দাবি, যে কোনও বৈঠকে সুনীল বনসলকে ঘিরে থাকেন কয়েকজন। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর অনুপম অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপির চার থেকে পাঁচজন নেতার সংসার চলে তৃণমূলের টাকায়।