কলকাতা: নানা জটিলতায় আটকে ছিল জোকা-বিবাদী বাগ (Joka-BBD Bag Metro) মেট্রো প্রকল্পের কাজ। অবশেষে প্রাথমিকভাবে জট কাটল সেই প্রকল্পের। প্রকল্পের বেশ কিছুটা অংশ পড়েছে সেনাবাহিনীর জায়গায়। সেই জায়গা নিয়েই ছিল সমস্যা। ফলে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেলেও কাজ তেমনভাবে এগোচ্ছিল না। অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হল, কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে, এখনও রয়েছে জট। কিছুটা অংশের কাজ এগোতে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের মেট্রোর কাজ নিয়েই ছিল মূল সমস্যা।
এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অনুমতি পেলেই টালি নালা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাটির নীচে মেট্রোর কাজ করতে পারবে আরভিএনএল। কলকাতা হাইকোর্টের আইনি জটে আটকে ছিল ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের মেট্রোর কাজ। জট কাটাতে সেনাবাহিনী ও মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) -এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তই শুক্রবার আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হল। টালি নালা থেকে মেট্রোর কাজ শুরুর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে আদালতের একটি নির্দেশের কারণেই বন্ধ ছিল কাজ। ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের যে অংশ দিয়ে মেট্রো যাবে, সেটি সেনাবাহিনীর জায়গায় হওয়ায় আদালত জানিয়েছিল, সেখানে কোনও কাজ করতে গেলে বা কিছু সরাতে গেলে সেনাবাহিনীর অনুমোদন লাগবে। সেই অনুমোদন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল।
জোকা থেকে শুরু হয়ে মেট্রো শেষ অবধি পৌঁছবে এসপ্লানেডে। ২০১০ সালে এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ই প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৫১৩৩.৩৮ কোটি টাকা। জোকা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রোর এই রুটে মোট ১৪টি স্টেশন থাকছে। জোকা এলাকাতেই ডায়মন্ড পার্ক, আইআইএম ও জোকা স্টেশন। এরপর ঠাকুরপুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার, তারাতলা, মাঝেরহাট, মোমিনপুর, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্লানেড। ২০২২ সালের মার্চে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। তারাতলা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ২.২৬ কিলোমিটার এই প্রকল্পের অংশ। এই অবধি পুরোটা মাটির উপর দিয়ে মেট্রো যাবে। মোমিনপুর থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ৫.৫৬ কিলোমিটারের কাজ নিয়ে ছিল সংশয়। শহরে যে সমস্ত মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ হচ্ছে, তার মধ্যে সব থেকে শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে জোকা-বিবাদীবাগ প্রকল্পের।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: নানা জটিলতায় আটকে ছিল জোকা-বিবাদী বাগ (Joka-BBD Bag Metro) মেট্রো প্রকল্পের কাজ। অবশেষে প্রাথমিকভাবে জট কাটল সেই প্রকল্পের। প্রকল্পের বেশ কিছুটা অংশ পড়েছে সেনাবাহিনীর জায়গায়। সেই জায়গা নিয়েই ছিল সমস্যা। ফলে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেলেও কাজ তেমনভাবে এগোচ্ছিল না। অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হল, কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে, এখনও রয়েছে জট। কিছুটা অংশের কাজ এগোতে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের মেট্রোর কাজ নিয়েই ছিল মূল সমস্যা।
এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অনুমতি পেলেই টালি নালা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাটির নীচে মেট্রোর কাজ করতে পারবে আরভিএনএল। কলকাতা হাইকোর্টের আইনি জটে আটকে ছিল ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের মেট্রোর কাজ। জট কাটাতে সেনাবাহিনী ও মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) -এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তই শুক্রবার আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হল। টালি নালা থেকে মেট্রোর কাজ শুরুর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে আদালতের একটি নির্দেশের কারণেই বন্ধ ছিল কাজ। ভিক্টোরিয়া এবং ময়দান অঞ্চলের যে অংশ দিয়ে মেট্রো যাবে, সেটি সেনাবাহিনীর জায়গায় হওয়ায় আদালত জানিয়েছিল, সেখানে কোনও কাজ করতে গেলে বা কিছু সরাতে গেলে সেনাবাহিনীর অনুমোদন লাগবে। সেই অনুমোদন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল।
জোকা থেকে শুরু হয়ে মেট্রো শেষ অবধি পৌঁছবে এসপ্লানেডে। ২০১০ সালে এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ই প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৫১৩৩.৩৮ কোটি টাকা। জোকা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রোর এই রুটে মোট ১৪টি স্টেশন থাকছে। জোকা এলাকাতেই ডায়মন্ড পার্ক, আইআইএম ও জোকা স্টেশন। এরপর ঠাকুরপুর, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার, তারাতলা, মাঝেরহাট, মোমিনপুর, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্লানেড। ২০২২ সালের মার্চে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। তারাতলা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ২.২৬ কিলোমিটার এই প্রকল্পের অংশ। এই অবধি পুরোটা মাটির উপর দিয়ে মেট্রো যাবে। মোমিনপুর থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ৫.৫৬ কিলোমিটারের কাজ নিয়ে ছিল সংশয়। শহরে যে সমস্ত মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ হচ্ছে, তার মধ্যে সব থেকে শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে জোকা-বিবাদীবাগ প্রকল্পের।