কলকাতা: বাংলার দায়িত্বে আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢেলে সাজিয়েছেন পর্যটনকে। কী নেই বাংলায়! উত্তরে হিমালয়ের কোলে দার্জিলিং, দক্ষিণে আবার সমুদ্রস্নান। সুন্দরবনে বাঘের দর্শন। বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বাউল গান। পুরুলিয়ার ছৌ। বাংলার প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে রয়েছে অভিরাম প্রাকৃতিক শোভা, সঙ্গে লোক-সংস্কৃতি। তার টানে ফি বছর প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান বাংলায়। আসেন বিদেশি পর্যটকরাও। বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ের দিক থেকে এখন গোয়াকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ের দিক থেকে বর্তমানে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের ঠিক পরেই।
রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানালেন, “গোয়া, রাজস্থানে অনেক বিদেশি পর্যটক যান। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা ওই রাজ্যগুলির থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছি।” এখন কত বিদেশি পর্যটক বাংলায় আসে জানেন? কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের মন্ত্রী জানালেন, এখন বছরে প্রায় ১৯ লাখ বিদেশি পর্যটকরা পশ্চিমবঙ্গে আসেন। ২০১১ সালের আগে এই সংখ্যাটি ছিল ৩ লাখের আশপাশে। ইন্দ্রনীল সেনের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৬ গুণ বেড়েছে বাংলায় বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার দুর্গাপুজো নতুন মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। তারপর থেকে বিশ্ব আঙিনায় কলকাতার দুর্গাপুজোর খ্যাতি আরও বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর বিদেশি পর্যটক কলকাতার দুর্গাপুজো দেখতে আসেন। তাঁদের জন্য বিশেষ বন্দোবস্তও করে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, বাংলার প্রতিটি প্রান্তে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে, তা খুব কম জায়গাতেই পাওয়া যায়। তার টানেই এখন বিদেশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় গোয়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলা।