কলকাতা: ইতিমধ্যেই পার্থ-অর্পিতা দুজনকেই গ্রেফতার করেছে ইডি(ED)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। অন্যদিকে অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। তাঁকে রবিবার তোলা হবে আদালতে। শনিবার রাতে তাঁকে রাখা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। তবে অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতারা। শনিবার সন্ধ্য়ায় সাংবাদিক বৈঠক করেও আরও একবার সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মতো নেতারা। এবার তা নিয়েই তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছালো ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ” সম্পর্ক নেই, এ কথা কেউ মানবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী, যিনি এই চক্রের অনুঘটক ছিলেন, তাঁর সঙ্গেও তৃণমূলের সম্পর্ক আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেই নাকতলায় পুজোর অনুষ্ঠানে কী ভাবে অর্পিতাকে সম্বোধন করেছেন তা সকলে দেখেছেন। আমিও টুইট করেছি। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, ওনার বান্ধবীরাও তৃণমূলের নেত্রী ছিলেন।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা।
এদিকে শুক্রবার এই বিশাল অঙ্কের টাকার খোঁজ মিলতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকেও। সুকান্ত বলেন, “এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এ কিছুই নয়। তদন্ত যখন আরও এগোবে, যখন ইডি আরও সূত্র পাবে। তখন আরও বড় বড় অঙ্ক ধরা পড়বে। রাজ্যে চাকরি বিক্রি করেছে রাজ্য সরকার। যে টাকাগুলি দেখা যাচ্ছে ওগুলি টাকা নয়, ওগুলি আমাদের বেকার যুবক-যুবতীদের চোখের জল।” তবে এদিন গ্রেফাতির পর নিজে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। এর পিছনে বিজেপির বড় হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিন ডায়মণ্ড সিটি সাউথের আবাসন থেকে যে মুহূর্তে তাঁকে ইডির গাড়িতে তোলা হচ্ছিল তখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অর্পিতা বলেন,, “আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমাকে টর্চার করা হয়েছে। এখানে অনেক বড় কিছু কাজ করছে। এটা বিজেপির চাল। বিজেপির(BJP) অনেক বড় হাত আছে।”