Arpita Mukherjee: ‘যা বলার ইডিকে বলেছি…’, মুখে কুলুপ পার্থর, আজ সরব অর্পিতাই

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Aug 05, 2022 | 2:41 PM

Arpita Mukherjee: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের ভিড়, এত ক্যামেরা, আলোর ঝলকানি, একাধিক তীক্ষ্ণ প্রশ্ন... আবারও কেঁদে ফেলেন অর্পিতা।

Arpita Mukherjee: যা বলার ইডিকে বলেছি..., মুখে কুলুপ পার্থর, আজ সরব অর্পিতাই
আবারও কেঁদে ফেললেন অর্পিতা

Follow Us

কলকাতা: আজও হয়তো পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্ফোরক কিছু বলতে পারেন! আবারও হয়তো মিলতে পারে নতুন কোনও ‘ক্লু’, ‘নিউজ় পয়েন্ট’। জোকা ইএসআই হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার আগে নিয়মমাফিক ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। শুক্রবার অবশ্য দেখা গেল কিছুটা অন্য চিত্র। সাংবাদিকরা স্বাভাবিকভাবেই ঘিরে ধরেন পার্থ-অর্পিতাকে। তবে এদিন পার্থ ছিলেন নিশ্চুপ। মুখে মাস্ক, নির্বাক দৃষ্টি, নির্লিপ্ত চেহারা- হুইলচেয়ারে বসেই হাসপাতালে ঢুকে পড়েন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে অর্পিতাও হাসপাতালে ঢোকেন হুইলচেয়ারেই। তবে কতটা বিধ্বস্ত তিনি, তা তাঁর চেহারায় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে এদিনও। পোশাক বদলেছেন, কিন্তু তাঁর শ্রাগটা অপরিবর্তিত।  এদিনও তাঁর চোখের পাতা ছিল ভেজা।

কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের ভিড়, এত ক্যামেরা, আলোর ঝলকানি, একাধিক তীক্ষ্ণ প্রশ্ন… আবারও কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। ক্যামেরার সামনে বললেন, ‘যা বলার ইডিকে বলেছি…’ তবে পার্থ এদিন কোনও কথা বলেননি।

অর্পিতা এর আগেও দু’বার কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। তাঁর অজান্তেই টাকা রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। এদিন গাড়ি থেকে নামার পরই সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। গাড়ি থেকে নামার সময় তিনি বলেন, ‘যা বলার ইডিকে বলেছি…’ হুইলচেয়ারে ওঠার পর হতভম্ব হয়ে কার্যত নির্বাক দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন। তারপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়ও কোনও কথা বলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩ অগস্ট আদালতের পেশের পর পার্থ, অর্পিতাকে আরও ২দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিনই শেষ হচ্ছে সেই হেফাজতের মেয়াদ। আবারও এদিন আদালতে পেশ করা হবে। জেল না বেল, পার্থ-অর্পিতার পরিণতি কী? সেটাই দেখার এবার।

Next Article