কলকাতা : কলকাতা ও কলকাতার বাইরে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। তিনি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতেন বলেই জানা যায়। কিন্তু বেলঘরিয়ায় পুরনো বাড়িতে একাই থাকেন তাঁর মা। আজ জেলে বসে বারবার নাকি মায়ের কথা মনে পড়ছে অর্পিতার। বয়স্ক, অসুস্থ মা। মায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে তো? মা ভাল আছে তো? সূত্রের খবর, আইনজীবীদের বারবার এ সব প্রশ্নই করছেন অর্পিতা।
বেশ কয়েকটা দিন হয়ে গেল জেলে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা। গত কয়েক বছর ধরে বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত অর্পিতার নানা অসুবিধা হচ্ছে জেলে। অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। জামাকাপড়ও নেই বেশি। এই অবস্থার জন্য তিনি কখনও নিজের ভাগ্যকে দুষছেন, আবার কখনও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কেই দায়ী করছেন বলে জেল সূত্রে খবর। তবে জেলের মধ্যে বসে বয়স্ক মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে তাঁর।মায়ের শরীর ভাল নয়, তাঁর ওষুধপত্র ঠিক মতো কেনা হচ্ছে কি না, তাও জানতে চেয়েছেন আইনজীবীদের কাছে।
উল্লেখ্য, অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর মা জানিয়েছিলেন, সপ্তাহে এক-দুবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন অর্পিতা। মূল কলকাতাতেই থাকতেন তিনি। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা জানতেন না বলেই দাবি করেন তাঁর মা।
আরও জানা গিয়েছে, মা ও দিদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন না বলে আক্ষেপ করেছেন অর্পিতা। আইনজীবী ছাড়া রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন মানুষদের সঙ্গেই শুধু দেখা করতে পারবেন অর্পিতা। কিন্তু গত কয়েকদিনে মা বা দিদি কেউ আসেননি জেলে। জেল সূত্রে খবর, অনেকেই নাকি অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কেউ বন্ধু বা সহপাঠী বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
এ দিকে, মঙ্গলবারই তাঁকে জেলে জেরা করতে যান ইডি আধিকারিকরা। এ দিন দুপুর ১২ টা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত তাঁকে জেরা করেন আধিকারিকরা। দুজন পুরুষ ও একজন মহিলা আধিকারিক জেরা করেছেন তাঁরা। মূলত অর্পিতার বিপুল সম্পত্তি আর তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান তদন্তকারীরা।