Arpita Mukherjee Driver: পুজোর আগে চাকরি গেল অর্পিতার ড্রাইভারের, পেলেন না চলতি মাসের বেতনও
‘মহিলারা যেমন ভ্যানিটি ব্যাগ নেন সেরকমই ব্যাগই সঙ্গে থাকত ম্যাডামের। কখনও কোনও বিশাল ব্যাগ মানে যেরকম ব্যাগে টাকা ধরা পড়েছে সেরকম ব্যাগ সঙ্গে দেখিনি’
কলকাতা: প্রণব ভট্টাচার্য, পেশায় ড্রাইভার। চালাতেন অর্পিতা মুখার্জির গাড়ি। মাস গেলে হাতে পেতেন ১৫ হাজার টাকা। অর্পিতা হেফাজতে যেতেই বিপাকে প্রণব। সামনেই পুজো, তার আগেই চাকরিটা চলে গেল। চলতি মাসের মাইনেও আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার মধ্যে ইডি আধিকারিকদের জেরা ও তদন্তের মুখে পড়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার মোবাইল ফোনটিও। অথচ, সবকিছু তো ঠিকঠাকই চলছিল!
জানুয়ারিতেই অর্পিতার ড্রাইভার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন প্রণব। যেতে হত অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে। তারপর সেখান থেকে অর্পিতাকে নিয়ে যেতেন কোম্পানি ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড’-এ। কখনও আবার পৌঁছে দিতেন পার্লারেও। যাতায়াতের সময় কী কী থাকত অর্পিতার সঙ্গে? সন্দেহজনক কখনও কিছু চোখে পড়েছিল প্রণবের? তাঁর জবাব, ‘মহিলারা যেমন ভ্যানিটি ব্যাগ নেন সেরকমই ব্যাগই সঙ্গে থাকত ম্যাডামের। কখনও কোনও বিশাল ব্যাগ মানে যেরকম ব্যাগে টাকা ধরা পড়েছে সেরকম ব্যাগ সঙ্গে দেখিনি’।
প্রণবকে দিয়ে কী কী কাজ করাতেন অর্পিতা? অর্পিতাকে বাড়ি থেকে তুলে অফিস বা পার্লার ছাড়া আর বাড়িতে ফেরানো ছাড়া বাড়তি কোনও কাজই করতে হয়নি প্রণবকে। কে থাকতেন অর্পিতার সঙ্গে? এর উত্তরের জন্য অবশ্য বেশি ভাবতে হয়নি প্রণবকে। নিমেষেই উত্তর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি ছেড়ে আসতে হত। প্রণবের কাজের মধ্যে ছিল এটাও।
গত ২২ শে জুলাই ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে ঢুকে প্রণব বুঝতে পারেন তল্লাশি চলছে। তল্লাশি শেষে জেনেছিলেন মালকিনের ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত টাকার অঙ্কটা ২১ কোটি ৯০ লক্ষ। ‘টাকার অঙ্কটা শুনে হাত-পা কাঁপছিল আমার, এত কোথায় এসে পড়লাম রে! কিচ্ছু বুঝতে পারিনি!’ বিস্ময়ের রেশটা এক সপ্তাহ পড়েও যেন কাটেনি প্রণবের। এই ক’দিনে ইডি থেকে সাংবাদিক অনেকের প্রশ্নের মুখেই পড়তে হয়েছে প্রণবকে। যা জানেন উত্তর দিচ্ছেন সবেরই। শুধু গলায় একটাই আক্ষেপ, ‘বুঝতেই তো পারছেন পুজোর আগেই চাকরিটা চলে গেল…।‘