Partha Chatterjee: অপা, তিতলি, লাবণী… এবার প্রয়াস! নাকতলায় পার্থর আর এক বাড়িতে নাকি হত মডেলিং, বিয়ে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 26, 2022 | 5:09 PM

Kolkata: আবারও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল। নাকতলায় একটি  ফ্ল্যাট ও রাজডাঙায় একটি প্রোডাকশন হাউসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

Partha Chatterjee: অপা, তিতলি, লাবণী... এবার প্রয়াস! নাকতলায় পার্থর আর এক বাড়িতে নাকি হত মডেলিং, বিয়ে!
আবারও ফ্ল্যাটের হদিশ (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কলকাতা: ‘আর কত?’ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পাশাপাশি রাজ্যবাসীর এখন একটাই প্রশ্ন ‘আর কত?’  রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি কলকাতায় একের পর সম্পত্তির খোঁজ মিলছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। এই প্রশ্নের উত্তর যে এখনও অমিল তা মঙ্গলবারের ঘটনা প্রমাণ করছে।আবারও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল। নাকতলায় একটি  ফ্ল্যাট ও রাজডাঙায় একটি প্রোডাকশন হাউসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এমনটাই খবর। ফলত, প্রশ্ন উঠছে  অভিযুক্তের এত টাকার উৎস কী? ইতিমধ্যেই তা জানতে তদন্তে নেমেছেন ইডি আধিকারিকরা।

ফ্ল্যাটের বিবরণ

সূত্রের খবর, নাকতলা কেন্দুয়া মেন রোডে অবস্থিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। বাড়িটির নাম প্রয়াস। মনে করা হচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলয়ের ঘনিষ্ঠ কোনও প্রমোটারের কাছ থেকে এটি নেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই ফ্ল্যাটটির আয়তন ৯০০ স্কোয়্যার ফিট। অর্পিতার ঘর টপ ফ্লোরে। ৪৫ বাস স্ট্যান্ডের ঢিল ছোড়া দূরত্বে এটি অবস্থিত রয়েছে।

জানা যাচ্ছে এই ফ্ল্যাটটি তৈরি হয়েছিল বছর দুই আগে। সেই সময় লকডাউন চলছিল, করোনা ছিল। তখনই এই ফ্ল্যাটটি নেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাটটির নিচে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের বিক্রেতার যদিও দাবি তিনি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাউকেই কখনও দেখেননি এখানে।

রাজডাঙার প্রোডাকশন হাউস

শুধু এই ফ্ল্যাট নয়, রাজডাঙা মেন রোডেও হদিশ মিলেছে প্রোডাকশন হাউসের। বিলাস বহুল সেই বাড়িটির তিনটি প্লট রয়েছে। দশ,এগারো, বারো। কলকাতা পুরসভার কর রাজস্বের যে খাতা রয়েছে সেই খাতায় কিন্তু বাড়ির মালিকের উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র এগারো নম্বর প্লটেরই হদিশ রয়েছে।

বাড়ির বিবরণ

এই বাড়িটির ২০১১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এই জায়গায় নিজের অফিস গড়ে তোলেন।

কী কাজ হত?

সূত্রের খবর, বাড়িটিতে আগে বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজকর্ম হত। তারপর মডেলিং এবং শুটিং-এর কাজ হয়। পাশাপাশি বিয়ে বাড়িও ভাড়া দেওয়া হত এখানে। যদিও, বাড়িটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। তবে ২০১৩ সালে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বাড়িটি দিয়ে দেন। তারপর থেকেই অর্পিতা এবং পার্থর দু’জনেরই যাতায়াত ছিল বাড়িটিতে এমনটাই খবর।

একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার খাতে দশ এবং বারো নম্বর প্লটের কোনও কর জমা পড়ে না। শুধুমাত্র এগারো নম্বর প্লটের কর জমা পড়ে। অভিযোগ, ফলত বিয়েবাড়ি, শুটিংয়ের জন্য যে কর পুরসভাকে দিতে হয়। তা জমা পড়ে না। অর্থাৎ কোথাও কর ফাঁকিরও অভিযোগ উঠছে। যদিও, বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

ইডি সূত্রে খবর, এই বাড়িটির উপর নজর রয়েছে ইডি তদন্তকারীদের। জানা যাচ্ছে, এত বড় প্লট, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কবে এর মালিকানা দিয়েছেন অর্পিতাকে ? কী কী কাজ হয় ? প্রতিটি বিষয় তদন্তে জানতে চান আধিকারিকরা।

Next Article