কলকাতা: ‘অপা’কাণ্ডে এবার ইডি-আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে এলআইসি কর্তৃপক্ষ। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার কাছ থেকে যে ৩১টি এলআইসি পলিসির কাগজ মিলেছে, তার বার্ষিক প্রিমিয়াম ৫০ হাজার টাকা। অর্পিতার বেশিরভাগ এলআইসি-র ক্ষেত্রেই এই পলিসি কার্যকরী। ইডি নজরে এখন এই টাকার উৎস। কোন অ্যাকাউন্ট থেকে, কার মাধ্যমে জমা দেওয়া হত প্রিমিয়াম, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছে ইডি। আদৌ কে দিতেন বিমার প্রিমিয়াম? এলআইসি কর্তৃপক্ষের কাছে এই টাকার উৎস জানতে চাইবে ইডি। মেলানো হবে সন্দেহজনক ৫০ টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে।
অর্পিতার বেলঘরিয়া, ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর, তাঁর ৩১ টি বিমার খোঁজ পান ইডি আধিকারিকরা। যার নমিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ-অর্পিতার বহু সম্পত্তিই যৌথ মালিকানায় রয়েছে বলে ইডি আধিকারিকরা। অপা ইউটিলিটি সার্ভিস নামে এক সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যার মালিকানা দুজনেরই।
তবে বিমার পলিসি এবার খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পলিসির প্রিমিয়ামের জন্য বছরে এই ৫০ হাজার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করতেন অর্পিতা? ৩১ টি বিমার মধ্যে বেশিরভাগ পলিসিতেই বছরে ৫০ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিতে হত? তাহলে এত টাকার উৎস কী? সেটাই এখন খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে অদ্ভুতভাবে গত শুক্রবার পার্থর আইনজীবী ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে সওয়াল করেছেন, পার্থ অর্পিতাকে সেভাবে চেনেনই না। তাহলে প্রশ্ন অর্পিতার বিমার নমিনি কীভাবে হন পার্থ? সেটাই এখন ইডি-র বিচার্য বিষয়।