কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ১০ জুনের অনেক আগেই এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। জানিয়ে দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, করোনা পরবর্তী সময়ে এবারের পরীক্ষা নেওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কাজ ছিল সংসদের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা পর্ব মিটেছে অত্যন্ত নির্বিঘ্নেই। রোখা গিয়েছে প্রশ্ন ফাঁস। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “২০২১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। আমরাও উচ্চ মাধ্যমিক নিইনি। ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক হোম সেন্টারে হয়েছিল। তাই এবারের পরীক্ষা আমাদের কাছেও চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। প্রশ্ন নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ উঠে আসেনি। ১৬১ জনকে এক্সট্রা টাইম দিয়েছি। ৮৪ জন হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। ১২ জন পরীক্ষার্থী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। ৫ টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে।” একইসঙ্গে গোটা পরীক্ষাপর্বে নিরন্তর পরামর্শ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে ডিএ-র দাবিতে সরব হয়েছেন সরকারি কর্মীরা। কিছুদিন আগেই ডাকা হয়েছিল বনধ। চলছে ডিজিটাল স্ট্রাইক। বহু স্কুলের শিক্ষক থেকে শিক্ষা কর্মীদের এই ডিএ আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল। এ প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ বেড়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে। অচলাবস্থার প্রভাব পরীক্ষায় পড়বে না তো? ঠিক সময়ে হবে তো ফলপ্রকাশ? চিন্তায় ঘুম উড়েছিল অভিভাবকদের। যদিও চিরঞ্জীব বাবুর দাবি, ডিএ আন্দোলনের প্রভাব পরীক্ষাতেও পরেনি। ফল প্রকাশেও পড়বে না। একইসঙ্গে জাতীয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষা উঠে গিয়ে শুরু হতে পারে সেমিস্টার সিস্টেম।
এ প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেন, “২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দুটি নতুন বিষয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এবং সোশ্যাল লার্নিং যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছি। একাদশ থেকেই এই দুটি বিষয়ের পাঠ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। একইসঙ্গে আমরা সেমিস্টার সিস্টেম নিয়ে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।” প্রসঙ্গত, এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। ২৩ টি জেলাতেই মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের থেকে বেশি ছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯।