কলকাতা: দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্যের শিক্ষা দফতর (Education Department)। বিশেষত নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য যথেষ্ট। আর এবার বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠল অসমে। বাংলা থেকে বিএড বা ডিএলএড করেছেন, এমন শিক্ষকদের শংসাপত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে অনেকেই অসমে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে শংসাপত্রগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ এ রাজ্যের শিক্ষা দফতর তথা রাজ্য সরকারকে যে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে অনেকেই চাকরি করেন অসমে। কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, টাকা নিয়ে অনেককে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অসমের শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা চান সার্টিফিকেটগুলি ভুয়ো না আসল, তা খতিয়ে দেখা হোক। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “কোন শংসাপত্র ভুল আছে আমাদের জানাক, আমরা ঠিক করে দেব। তবে বর্তমানে যে পদ্ধতি রয়েছে, তাতে প্রতিটি সার্টিফিকেটে কিউআর কোড থাকে। মার্কশিট, অ্যাডমিটেও কিউআর কোড থাকে। যে কোনও প্রতিষ্ঠান সেই কোড স্ক্যান করলেই বুঝে যাবে যে ওই সার্টিফিকেট আসল।”
উল্লেখ্য, ডিএলএড কোর্সের ক্ষেত্রে বাংলায় আগেই অনেক অভিযোগ উঠেছে। ডিএলএড কলেজগুলির অনুমোদন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অসম সরকারের এই তৎপরতায় প্রশ্ন উঠছে, বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর কি ভরসা হারাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যও? নাকি বাংলায় চলছে কোনও ভুয়ো শংসাপত্রের চক্র?