ATB: বাংলার জেলে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই জাল ছড়াচ্ছে জঙ্গিরা, তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা! জেরায় উঠে আসা তথ্যে পায়ের তলার মাটি সরল প্রশাসনের
ATB: জানা যাচ্ছে, বহরমপুর জেলে থেকে তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, যে খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত, তার সঙ্গে নূর ইসলামের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই নূর ইসলাম হল আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য, তাকে কাকড়াঝোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কলকাতা: জঙ্গিদের স্লিপার সেল সক্রিয় জেলও! বহরমপুর, প্রেসিডেন্সি ও বারুইপুর জেলে রয়েছে JMB জঙ্গি সন্দেহে ধৃত প্রায় ৪০ জন। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিও রয়েছেন। আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য সাজিবুল ও মুস্কাকিমের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে জেলবন্দিদের। চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট এল TV9 বাংলার হাতে।
আনসারুল্লা বাংলা টিমের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে অসম STF। আর ২ জন গ্রেফতার হয়েছে বাংলা থেকে। তাঁদের জেরা করেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদম বাংলাদেশের মডেলেই জেলেও স্লিপার সেল তৈরি করে। বাংলার যে সমস্ত জেলে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতরা রয়েছে, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও যারা ধরা পড়েছে, তাদের নিয়ে চলছে স্লিপার সেল। তাদের সঙ্গে বাইরে থাকা সদস্যদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জানা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান হত, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হত।
জানা যাচ্ছে, বহরমপুর জেলে থেকে তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, যে খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত, তার সঙ্গে নূর ইসলামের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই নূর ইসলাম হল আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য, তাকে কাকড়াঝোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। নূর একাধিকবার ফালাকাটায় এসে মিটিং করেছিল। অর্থাৎ কোথাও জেলের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে মডিউলগুলো যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিল। মোবাইলের কল ডিটেইলস ও মেসেজ দেখে স্পষ্ট হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, জেলে থেকেও কীভাবে এই সমস্ত অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? জেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তারা।