কলকাতা: রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে দুর্নীতির জাল! বিস্তার ঠিক কতদূর? তা খুঁড়ে বের করতে গিয়ে এবার সামনে এল কলকাতা পুরনিগমের নাম। সোমবার আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে যে সিজার লিস্ট জমা দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যা যা উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একটি চিঠি। কলকাতা পুরনিগমের মেয়রকে লেখা এক চাকরি প্রার্থীর চিঠি সেটি। আর সেই চিঠি থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেও যোগ ছিল অয়ন শীলের? কতটা লম্বা ছিল এই ব্যবসায়ীর হাত?
ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা পুরনিগমের ‘কনজারভেন্সি মজদুর’ পদে নিয়োগ তালিকার বাইরে থাকা অর্থাৎ এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির এক প্রার্থীর চিঠি মিলেছে অয়নের বাড়ি থেকে। ইডি সূত্রে খবর, ওই চিঠি আসলে নিয়োগ সংক্রান্তই। কী করে সেই চিঠি পৌঁছল অয়নের বাড়িতে? তা জানতে তাঁকে জেরা করা হবে।
রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব ছিল অয়ন শীলের সংস্থার হাতে। আর সেই সব নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন আদালতে দাবি করেছে ইডি। ইডি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হালিশহর, পানিহাটি, কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে অয়নের হাত ধরে। এরই মধ্যে সামনে আসছে কলকাতা পুরনিগমের নাম।তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। চাকরি দিয়ে অয়ন শীল ৫০ কোটির ওপর সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
তবে, অয়ন শীলের আইনজীবীর দাবি, তিনি নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাতেন আইনি পথেই। সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত বলে দাবি করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে জেরা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত অয়ন শীলের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।