Babita Sarkar: ‘এক হাতে বই, এক হাতে ছেলেকে খাওয়ানো’, চাকরির প্রস্তুতির গল্প শোনালেন ববিতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 23, 2022 | 4:40 PM

Interview: শিলিগুড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়ি গ্রামে জন্ম হয়েছিল ববিতা সরকারে। সেখানেই শুরু স্কুলজীবন। পরবর্তী কালে সুযোগ সুবিধার জন্য চলে আসেন শিলিগুড়িতে।

Follow Us

কলকাতা: তিনি ববিতা সরকার। আদালতের লড়াই করে মন্ত্রী কন্যার চাকরি ছিনিয়ে লড়াইয়ের মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন। ওয়েটিং লিস্টে নাম থেকেও চাকরি মেলেনি। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু ক্ষমতার কাছে হার মেনে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। অধিকার বুঝে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কমিশনে হন্যে হয়ে পড়ে থেকেও যখন কাজ হয়নি। তখন দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। এর পরই হাইকোর্ট অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে। সম্প্রতি তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন। সেই ববিতা সরকার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি৯ বাংলার এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, নিজের লড়াইয়ের কথা।

শিলিগুড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়ি গ্রামে জন্ম হয়েছিল ববিতা সরকারে। সেখানেই শুরু স্কুলজীবন। পরবর্তী কালে সুযোগ সুবিধার জন্য চলে আসেন শিলিগুড়িতে। মেসে থেকে চালিয়েছিলেন পড়াশোনা। তার পর ধাপে ধাপে শেষ করেছেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর। তার পরই বিয়ে করেন ববিতা। বিএড কোর্সে ভর্তির আবেদন ইতিমধ্যেই করেছিলেন। বৌউভাতের দিনই সেই বিএড-এর কাউন্সিলিংয়ের দিন ধার্য হয়। বৌভাতের অনুষ্ঠান এড়িয়েই বিএড-এর কাউন্সিলিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ববিতা।

এর পরই স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ততদিনে ববিতার প্রথম সন্তান জন্মেছে। তার বয়স তখন মাত্র তিন বছর। ছেলেকে খাওয়ানো, স্নান করানো ও সংসারের অন্য কাজের পাশাপাশিই চালিয়েছেন পড়াশোনা। লক্ষ্য ছিল একটাই পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করতে হবে। যাতে ভাল করে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ ব্যাপারে ববিতা বলেছেন, “ছেলে তখন নিজে নিজে খাওয়া শেখেনি। আমারও তখন পড়াশোনার খুব চাপ। যে করেই হোক সিলেবাস শেষ করতে হবে। তখন এক হাতে বই, এক হাতে ছেলেকে খাওয়ানো। এ ভাবেই প্রস্তুতি চালিয়েছি। তার পর পরীক্ষায় বসেই বুঝতে পেরেছিলাম আমি পাশ করব। পরীক্ষা দিয়ে তো বোঝা যায় কেমন হয়েছে। চার পাঁচ মাস পর রেজাল্ট বেরলো। প্রথম বারেই ডাক পেলাম আমি।” তার পরই তিনি দেখেন ওয়েটিং লিস্টের ২০ নম্বর স্থানে নাম রয়েছে তাঁর।

যদিও মন্ত্রীর কন্যার জন্য তখন চাকরি পাওয়া হয়নি। যদিও লড়াই ছাড়েননি। হাইকোর্ট তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই ন্যায্য চাকরি। হাইকোর্টের রায়ে এত দিনের লড়াই সার্থক হল বলে খুশি ববিতা।

কলকাতা: তিনি ববিতা সরকার। আদালতের লড়াই করে মন্ত্রী কন্যার চাকরি ছিনিয়ে লড়াইয়ের মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন। ওয়েটিং লিস্টে নাম থেকেও চাকরি মেলেনি। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু ক্ষমতার কাছে হার মেনে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। অধিকার বুঝে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কমিশনে হন্যে হয়ে পড়ে থেকেও যখন কাজ হয়নি। তখন দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। এর পরই হাইকোর্ট অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে। সম্প্রতি তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন। সেই ববিতা সরকার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি৯ বাংলার এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, নিজের লড়াইয়ের কথা।

শিলিগুড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে খড়িবাড়ি গ্রামে জন্ম হয়েছিল ববিতা সরকারে। সেখানেই শুরু স্কুলজীবন। পরবর্তী কালে সুযোগ সুবিধার জন্য চলে আসেন শিলিগুড়িতে। মেসে থেকে চালিয়েছিলেন পড়াশোনা। তার পর ধাপে ধাপে শেষ করেছেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর। তার পরই বিয়ে করেন ববিতা। বিএড কোর্সে ভর্তির আবেদন ইতিমধ্যেই করেছিলেন। বৌউভাতের দিনই সেই বিএড-এর কাউন্সিলিংয়ের দিন ধার্য হয়। বৌভাতের অনুষ্ঠান এড়িয়েই বিএড-এর কাউন্সিলিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ববিতা।

এর পরই স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ততদিনে ববিতার প্রথম সন্তান জন্মেছে। তার বয়স তখন মাত্র তিন বছর। ছেলেকে খাওয়ানো, স্নান করানো ও সংসারের অন্য কাজের পাশাপাশিই চালিয়েছেন পড়াশোনা। লক্ষ্য ছিল একটাই পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করতে হবে। যাতে ভাল করে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এ ব্যাপারে ববিতা বলেছেন, “ছেলে তখন নিজে নিজে খাওয়া শেখেনি। আমারও তখন পড়াশোনার খুব চাপ। যে করেই হোক সিলেবাস শেষ করতে হবে। তখন এক হাতে বই, এক হাতে ছেলেকে খাওয়ানো। এ ভাবেই প্রস্তুতি চালিয়েছি। তার পর পরীক্ষায় বসেই বুঝতে পেরেছিলাম আমি পাশ করব। পরীক্ষা দিয়ে তো বোঝা যায় কেমন হয়েছে। চার পাঁচ মাস পর রেজাল্ট বেরলো। প্রথম বারেই ডাক পেলাম আমি।” তার পরই তিনি দেখেন ওয়েটিং লিস্টের ২০ নম্বর স্থানে নাম রয়েছে তাঁর।

যদিও মন্ত্রীর কন্যার জন্য তখন চাকরি পাওয়া হয়নি। যদিও লড়াই ছাড়েননি। হাইকোর্ট তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই ন্যায্য চাকরি। হাইকোর্টের রায়ে এত দিনের লড়াই সার্থক হল বলে খুশি ববিতা।

Next Article