AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baguiati: পুলিশ সঠিক সময় তদন্ত করলে সুটকেস বন্দি হতে হত না রিয়াকে, আফসোস স্বামীর

Baguiati: ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ জানত না, এর মধ্যেই খুন হয়ে গিয়েছেন রিয়া। অপরদিকে বাগুইআটি থানার পুলিশ দেহ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে এবং তদন্ত শুরু করে তারা বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে জানতে পারে অভিযুক্ত কৌশিক প্রামাণিক বারাসতের ১ আবাসনে থাকতেন।

Baguiati: পুলিশ সঠিক সময় তদন্ত করলে সুটকেস বন্দি হতে হত না রিয়াকে, আফসোস স্বামীর
রিয়া ধরের দেহই মিলেছিল বাগুইআটিতেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2025 | 9:12 PM
Share

কলকাতা: পুলিশ সঠিক সময় তদন্ত করলে সুটকেস বন্দি হতে হত না রিয়া ধরকে। এমনটাই অভিযোগ স্বামী অমিত কুমার ধরের। ২ এপ্রিল বাড়ি ছেড়েছিলেন রিয়া। তাঁর আগে ১ তারিখ বাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্র কোনও ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি পাচার করে দিয়েছিলেন। স্বামী দু তারিখ নিজের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সঙ্গে সঙ্গে তিনি দারস্থ হন মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায়। অভিযোগ, পুলিশ নানা অছিলায় প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অবশেষে যখন অভিযোগ নেয়, তারপর তদন্তের জন্য যাবতীয় খরচ যোগান দিতে হবে স্বামী অমিত কুমার ধরকে. এমনটাই বলা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে কেটে যায় ৮ থেকে ১০ দিন।

পুলিশ ২২ তারিখ রাতে অভিযুক্ত কৌশিককে বারাসতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে। তবে তার আগেই খুন হয়ে যান রিয়া। অভিযোগ, কৌশিক ২১ তারিখে রিয়ার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মুখে ব্রাউন টেপ মেরে ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ বাগুইআটি এলাকার দেশবন্ধু নগর প্রতিবেশী পাড়ায় নর্দমায় ফেলে দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। পরে কৌশিককে নবগ্রাম থানার পুলিশ রিয়ার অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করে।

ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ জানত না, এর মধ্যেই খুন হয়ে গিয়েছেন রিয়া। অপরদিকে বাগুইআটি থানার পুলিশ দেহ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে এবং তদন্ত শুরু করে তারা বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে জানতে পারে অভিযুক্ত কৌশিক প্রামাণিক বারাসতের ১ আবাসনে থাকতেন। সেখানে গিয়ে বাগুইআটি থানার পুলিশ জানতে পারে, একদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করেছে নবগ্রাম থানার পুলিশ। এরপর তারা নবগ্রাম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তখন জানতে পারে ২১ তারিখ খুন করে রিয়াকে নর্দমায় ফেলা হয়েছিল।

গত ২০ তারিখ অভিযুক্ত কৌশিক প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছিল, তারা যদি পুলিশ আগে ভাগে তদন্ত করত, সেক্ষেত্রে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেত রিয়া ধর। এমনটাই দাবি করছেন স্বামী অমিত কুমার ধরের।