কলকাতা: তাঁর চাঁচাছোলা প্রশ্নবাণে প্রায়শই সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের চোখা চোখা প্রশ্ন অস্বস্তিতেও ফেলে শাসক বিজেপিকে। একাধারে তিনি যেমন ইংরাজিতে দক্ষ, তেমনই ধারালো যুক্তি দেন মাতৃভাষা বাংলাতেও। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জিতেছিলেন মহুয়া। বর্তমানে জাতীয় স্তরে ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম পরিচিত মুখ মহুয়া মৈত্র। তাঁর উপার্জন কত জানেন?
২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মহুয়া মৈত্রর আয় ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তা ছিল ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তা ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৬ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০ টাকা।
পড়াশোনার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকাতেও। ১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক পাশ করেন তিনি। তারপরই ধীরে ধীরে ঝোঁক বাড়তে থাকে রাজনীতিতে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, যখন এই তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল তখন মহুয়ার হাতে নগদ ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই তথ্যই বলছে, দেশের পাশাপাশি বিদেশের ব্যাঙ্কেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে মহুয়া মৈত্রের। তালিকায় থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্টের মধ্যে লন্ডনের ব্যাঙ্কে রয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৮২ টাকা। অন্যদিকে দেশে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কলকাতার গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫ টাকা। শুধু ব্যাঙ্কে টাকাই নয়, হিরে থেকে সোনা, রুপো সব গয়নাই রয়েছে মহুয়ার কাছে। রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকার আর্ট পিসও। সব মিলিয়ে মোট টাকার অঙ্কটা ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা।
কিছু লোনও রয়েছে তাঁর। রয়েছে কার লোন। যে সময় এই তথ্য দেওয়া হয়েছে, তখন ব্যাঙ্কে বাকি লোনের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ১৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। তবে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির কোনও খতিয়ান নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেওয়া ছিল না।