Bansdroni Accident: পাটুলি থানার ওসি-কে ঘিরে চরম বিক্ষোভ, ৬ ঘণ্টা পরও দেখা নেই কাউন্সিলরের, দুর্ঘটনায় ছাত্রমৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁশদ্রোণী

Bansdroni Accident: মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের চাকায় পিষ্ট হয়ে চোদ্দো বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত জনতা পে লোডারে ভাঙচুর চালান। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দেন।

Bansdroni Accident: পাটুলি থানার ওসি-কে ঘিরে চরম বিক্ষোভ, ৬ ঘণ্টা পরও দেখা নেই কাউন্সিলরের, দুর্ঘটনায় ছাত্রমৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে বাঁশদ্রোণী
পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2024 | 1:40 PM

কলকাতা:  দুর্ঘটনায় কিশোর মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি বাঁশদ্রোণীতে। ঘটনার পর পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে যাননি কাউন্সিলর। দুর্ঘটনায় কিশোর মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দারা। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন পাটুলি থানার ওসি। তাঁকে ঘিরে ধরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাটুলি থানার এই ওসির-ই রাজনৈতিক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠেন। বুধবার তাঁকে কাছে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরে ধরে যখন বিক্ষোভ হয়, বাকি পুলিশ কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। দেখা যায়, জনা পঞ্চাশেক যুবক রীতিমতো পাটুলি থানার ওসি-কে টানতে টানতে এলাকায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, এক কনস্টেবলকে রীতিমতো, লাথি, ঘুষি-চড়ও মারা হয়। যদিও স্থানীয় যুবকদের বক্তব্য, “আমরা প্রথমে কিছুই করিনি। আমাদেরকেই প্রথমে মারা হয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের চাকায় পিষ্ট হয়ে চোদ্দো বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত জনতা পে লোডারে ভাঙচুর চালান। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও এলাকায় যান না কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। কোনও উন্নয়ন হয় না। পুজো আসতেই রাবিশ ফেলা হচ্ছে।

তবে TV9 বাংলাকে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “রাস্তাঘাট খারাপ আছে, সেটা তো অস্বীকার করার নয়। রাস্তার কাজ হচ্ছিল। পুজোর আগে আমরা রাবিশ দিয়ে কাজ করছি। কাল রাতেই রাবিশ ফেলা হয়েছিল। রাস্তার মাঝে ফেলেছিল। জেসিবি আনা হয়েছিল রাবিশ সরানোর জন্য। পিছনেই বাচ্চাটা ছিল। জেসিবি তো আর পিছনের দিকে দেখা যায় না। ওখানে আবার একটা নারকেল গাছ ছিল। জেসিবি পিছনে সরছিল বলে, বাচ্চাটা নারকেল গাছে আড়াল হয়ে যায়। ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। মাথা থেঁতলে যায়। স্পট ডেড হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। সব রাস্তাই অনেক দিন খারাপ। ড্রেনেজের কানেকশন হয়নি বলে রাস্তার কাজ সঠিকভাবে কাজ হবে। এখন পুজোর জন্য কাজ হচ্ছিল। ” কিন্তু  তবুও প্রশ্ন, ঘটনার পর এতক্ষণ পেরিয়ে গেলেও, কেন সেখানে গেলেন না এলাকার কাউন্সিলর? এখনও এলাকায় উত্তেজনা চরমে।

এই খবরটিও পড়ুন