বাঁশদ্রোণী: বাঁশদ্রোণীতে ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। পে-লোডারে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। সেই ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন। একজন গাড়ির চালক। অপরজন গাড়ির মালিক। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির চালকের নাম শম্ভু রাম। অপরদিকে, গাড়ির মালিক হলেন বিশ্বকর্মা শর্মা। জানা যাচ্ছে, গাড়ির মালিক ঘটনার দিন শম্ভুকে পালাতে সাহায্য করেছিল। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, দমদম ও চিৎপুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনএস (BNS) বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত, মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের চাকায় পিষ্ট হয়ে চোদ্দো বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। যার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। উত্তেজিত জনতা পে-লোডার ভাঙচুর করে। বাসিন্দাদের একাংশ স্থানীয় কাউন্সিলরের উপর উগরে দেন ক্ষোভ। এমনকী রাস্তা খারাপের অভিযোগ করেন তাঁরা।
এরপর শুক্রবার বাঁশদ্রোণীর ঘটনা নিয়ে ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে তিনি জানান যে,ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মোট ছ’টি এফআইআর করা হয়েছে। তাঁদের কাছে মূল গুরুত্বপূর্ণ ছিল,ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা। সেইমতো গাড়ির চালক ও মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিদিশা কলিতা বলেন, “এলাকার কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কমিশনার যা বলার বলেছেন। উনি থানায় কথা বলতে আসেন। তারপর সেখানে বসে যান এবং পুলিশের নিত্য নৈমিত্তিক কাজে বাধা দিতে থাকেন। যে কারণে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”