কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগেই অসুস্থ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি তিনি। নিউমোনিয়াও হয়েছে তাঁর।
ভোটের মুখেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বসিরহাটের প্রার্থীকে। পরে জানা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনি। তাঁর ফুসফুসের ডানদিকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
তবে চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, আপাতত হাজি নুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসা চলছে তাঁর। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি ছিল, এই নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে কড়া অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
বেসরকারি হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ তাঁকে আইসিইউ থেকে বের করে কেবিনে পর্যবেক্ষণে রাখা হতে পারে। অপর একটি সূত্রে খবর, হাজি নুরুল বাড়ি যেতে চাইছেন। আজই রিস্ক বন্ডে সই করে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন তিনি।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার নির্বাচনী প্রচারে বসিরহাটের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল। শনিবার দুপুরে সন্দেশখালির রাজবাড়িতে সভা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি হাজির থাকতে পারেননি। এই বিষয়ে দমকলমন্ত্রী তথা বসিরহাট লোকসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুজিত বসুকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সভায় আসতে পারেননি হাজি নুরুল।
রবিবার সকালেও তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট আসনে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে। তিনিও দিন কয়েক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডিহাইড্রেশনের জন্য তাঁকে এইমসে ভর্তি করানো হয়েছিল। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুলও। তাঁর অসুস্থতা আরও গুরুতর।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব। মোট ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। এর মধ্যে শেষ দফায়, আগামী ১ জুন ভোট রয়েছে বসিরহাটে। এই বসিরহাট আসন এবার লোকসভা নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভোটের ঠিক আগেই উঠে এসেছে সন্দেশখালি ইস্যু। শাসকদলের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল থেকে মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া ও শারীরিক নির্যাতনের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে।