কলকাতা: রাজ্য-রাজভবন সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে সংঘাতের মাত্রা। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল তুঘলকী আচরণ করছেন বলে তোপ দেগেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। নাম না করে রাতের ভ্যাম্পেয়ার বলে কটাক্ষ করেছেন। এরইমধ্য়ে চরম বার্তা দিয়েছেন খোদ রাজ্যাপাল সি ভি আনন্দ বোস। সাফ বলেছেন, “কী হয় দেখার জন্য মধ্যরাতের জন্য অপেক্ষা করুন।” পাল্টা ব্রাত্য লিখেছেন ‘রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর অপেক্ষা করে রয়েছি।’ এরইমধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের তলব পেয়ে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ছিলেন মুখ্যসচিব।
জানা গিয়েছে, বিকাল ৫ টা ২৫ মিনিট রাজভবনে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজভবনে ঢুকে সোজা চলে যান রাজ্যপালের কাছে। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর রাজভবন থেকে বেরোন মুখ্যসচিব। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বাড়ছে নানা জল্পনা। রাজ্যপালের মধ্যরাতের ডেডলাইনের আগে এই বৈঠক নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করছেন না বলে তোপ দেগেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি, শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম না মেনে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরইমধ্যে এদিন রাজ্যপাল বলেন, কী হয় দেখার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সবমিলিয়ে সংঘাতের আবহে মুখ্যসচিবের রাজভবনে যাওয়া নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলেছে। যদিও রাজ্যের প্রশাসনিক মহল মনে করছে মন্ত্রীসভার রদবদলের ফাইল সই করার আবেদন নিয়ে মুখ্যসচিব গিয়েছিলেন। কিন্তু, আজকের বাতাবরণে সেটি আসল কারণ কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রাজভবন কোনওরকম বিবৃতি দেয়নি এ বিষয়ে ।