কলকাতা: চলে গিয়েছে একটা খুদে প্রাণ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তার বাবাও। বেহালার দুর্ঘটনার পর হুঁশ ফিরেছে প্রশাসনের। তারপরই বাহিনী নিয়ে বিশেষ তৎপর হতে দেখা গেল প্রশাসনকে। রাতারাতি বদলে গেল স্কুলের সামনের পরিস্থিতি।
স্কুলের সামনে এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে তপ্ত হয়ে ওঠে বেহালা চৌরাস্তা। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আক্রান্ত হয়ে হয় পুলিশকেও। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। শনিবার সকালে এখনও এলাকায় সেই বিক্ষোভের ছাপ স্পষ্ট। যত্রতত্র পড়ে বড় ইটের টুকরো। আর দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা পুলিশি ব্যারিকেডে।
শুক্রবারের ঘটনার পর শনিবার বন্ধ স্কুল। পুলিশের সামনে মোতায়েন রয়েছেন একাধিক পুলিশ আধিকারিক। মাঝখানে একটা পুলিশি ডিভাইডার রাখা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ররাও রয়েছেন।
স্কুল গেট থেকে কয়েকপা এগোলেই মেইন রোড। সেখান থেকে হু হু করে যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঠিক সেই রাস্তা পেরোতে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালের পরিস্থিতিটা একেবারেই অন্য দিনের থেকে আলাদা।শনিবার স্কুলের সামনে প্রচুর পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়রা মোতায়েন রয়েছেন।
স্কুলের সামনেই রয়েছে একটি ট্রাফিক কিয়স্ক। শুক্রবার সেখানে কেউই মোতায়েন ছিলেন না বলে অভিযোগ। কিন্তু শনিবারের সেই ছবিটাও আলাদা। তবে অভিভাবকরা প্রশ্ন করছেন, এতদিন এত দাবি জানিয়েও কিচ্ছু লাভ হয়নি। একটা খুদের মৃত্যু নাড়িয়ে দিল সব কিছু। তবে এই ব্যবস্থাপনা চিরস্থায়ী হবে তো? নাকি ক্ষণস্থায়ী?
তবে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে লালবাজারের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সমস্ত ডিভিশন ও থানাতে লালবাজারের নির্দেশিকা, ওসি কিংবা অতিরিক্ত ওসি-কে থানাতে থাকতে হবে। থানা, বারাক, ডিভিশন-সহ মোট ফোর্সের ২৫ শতাংশ বাহিনী থাকা বাধ্যতামূলক। সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেকদিনই। বিশেষ করে রাতে এই ফোর্স বাধ্যতামূলক। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত কমিশনার, ওসি এই বিষয়গুলো দেখবেন। ডিসি-সহ সমস্ত বিষয়টি নজরে রাখবেন।