কলকাতা: খবরের শিরোনামে রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। কারণ তাঁর ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেলঘরিয়ার (Belgharia) ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা, সোনার গয়না, গোল্ড বার। অর্পিতার সূত্র ধরে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Arpita Mukherjee)। যা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি? কিন্তু, প্রথম জীবনে কেমন ছিলেন অর্পিতা? তাই নিয়েই টিভি-৯ বাংলায় অকপট সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী। এই সঙ্ঘমিত্রার তিন ছবিতেই কেরিয়ারের শুরুতে অভিনয় করেছিলেন অর্পিতা।
অর্পিতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সঙ্ঘমিত্রা বলেন, “আমার সঙ্গে ওর আলাপ ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ। ওকে দেখতে খুব ভাল। ওর চুলের কোয়ালিটি, স্কিনের কোয়ালিটি খুব ভাল। ওকে আমি কাস্ট করেছি তিনটি ছবিতে। আমার সঙ্গে যখন কাজ করেছে শুরু দিকে, তখন ওর একটা গাড়িও ছিল না। বেলঘরিয়া থেকে ও ট্যাক্সিতে আসত। পরবর্তীতে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনে। নিজে কিনেছিল নাকি কেউ উপহার দিয়েছিল তা আমি বলতে পারব না। অসম্ভব আমুদে ছিল ও। আমার তৃতীয় ছবিতে কাজ করার সময় থেকেই ওর মধ্যে কিছু বদল দেখতে পাই। ওর মধ্যে একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখতে পাওয়া যায়। ওর হাবভাব, চালচলনের মধ্যে বদল দেখতে পাওয়া যায়। তাড়াতাড়ি শিফট ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। যদিও তখন এগুলো নিয়ে এত ভাবিনি। এখন টিভিতে এ খবর দেখে খুব খারাপ লাগছে।”
তবে অর্পিতার এই পরিণতিতে রীতিমতো দুঃখপ্রকাশ করে সঙ্ঘমিত্রা বলেন, “আমি পরিচালক হিসাবে ওর অভিভাবক। আমার সন্তানের মতো ও কাজ করেছে। আজকে তাঁর যদি এই পরিণতি হয় তাহলে খারাপ লাগে। ২২ কোটি টাকা, এত গয়না, সেই তো অন্ধকার ঘরেই ঠাঁই হবে। সেই তো জেলের কাপড়টাই ওকে পরতে হবে।” কীভাবে হয়েছিল পরিচয়? এ প্রশ্নের উত্তে সঙ্ঘমিত্রা বলেন, “খুব সম্ভবত কোনও এক প্রযোজকের ঘরে ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওখানে ও কাজ করেছিল কি না জানি না। তখন আমার সঙ্গে ওকে কাজ করতে বলায় ও করে। প্রথম ছবি বিদেহীর খোঁজে রবীন্দ্রনাথে কাজ করে ও। তবে এখানে অনেক ছোট চরিত্রে ও অভিনয় করে। জিনা দ্য এন্ডলেস লাভ ছবিতেও অর্পিতা সেকেন্ড লিডে কাজ করে। ও সোহম, বুম্বাদার সঙ্গেও কাজ করেছিল। কাজ ভাল করত, তবে ওর আরও অনেকটা তালিমের প্রয়োজন ছিল।”
ঝড়ের গতিতে কোটিপতি হয়ে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে সঙ্ঘমিত্রা আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ওর সঙ্গে তারপর আর দেখা হয়নি। কিছু সময় আগে এক পার্টিতে দেখা হওয়ায় ও বলে আমি ওড়িয়া ছবি, দক্ষিণ ভারতের ছবিতে কাজ করছি। নিজে একটা প্রোডাকশন হাউসে কাজ করব ভাবছি। তবে ও যে কোনও রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠ হবে বা হচ্ছে এর বিন্দুমাত্র খবর আমার কাছে ছিল না। তবে নাকতলা উদয়ন সংঘের বেশ কিছু পোস্টারে ওকে দেখেছি। তবে একটা পুজোর মুখ হয়ে গিয়ে যে ও কোটিপতি হয়ে যেতে পারে তা স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন জানি না।”