Belur Math on Nirmal Maji: ‘আমাদের মায়ের অসম্মান দুঃসহ বলে মনে হচ্ছে’, ‘মমতাই মা সারদা’ মন্তব্যে কড়া বিবৃতি বেলুড় মঠের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 30, 2022 | 5:53 PM

Belur Math on Nirmal Maji: নির্মল মাজি দাবি করেছিলেন, সারদা দেবীই নাকি জন্ম নিয়েছেন মমতা রূপে। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলে জোর চর্চা।

Follow Us

কলকাতা : সারদা দেবীই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপে জন্ম নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সভায় এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তাঁর দাবি, সারদা দেবী যে দক্ষিণ কলকাতায় জন্ম নেবেন, সে কথা বলে গিয়েছিলেন। নির্মলের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে হয়েছে তুমুল চর্চা। আর এবার শাসক দলের বিধায়কের সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিল বেলুড় মঠ। সারদা দেবী সম্পর্কে ভুল মন্তব্য পেশ করে ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করল বেলুড় মঠ।

কয়েকদিন আগে তৃণমূল বিধায়কের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে নির্মলকে বলতে শোনা যায়, একবার খাল পেরিয়ে হরিশ চ্যাটার্জি রোড হয়েই কালীঘাটে গিয়েছিলেন সারদা দেবী। তিনি বলেছিলেন কালীঘাটের কালীক্ষেত্রেই ফের নাকি জন্ম নেবেন। আর তখন ত্যাগ, তিতিক্ষা, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যাবেন। এখানেই শেষ নয়, পরিসংখ্যান এবং সংখ্যাতত্ত্ব উল্লেখ করেও নির্মল দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সারদা দেবী। তাঁর বক্তব্য, সারদা দেবীর মৃত্যু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের সময়কাল নাকি মিলে যাচ্ছে।

রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ বিবৃতিতে নির্মল মাজির বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রামকৃষ্ণ মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন বা অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রামাণিক নথি হিসেবে যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনওটিতেই এমন তথ্য নেই।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এমন অনেক সন্ন্যাসী বা গৃহী ভক্তের সংস্পর্শে তিনি এসেছেন, যাঁরা কোনও না কোনও সময়ে সারদা দেবীর সান্নিধ্যে এসেছিলেন। তাঁদের মুখেও এমন কথা শোনা যায়নি। বিধায়ক কোথা থেকে এমন ‘অদ্ভুত তথ্য’ পেলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ভক্ত ও অগণিত মানুষের মনে যে ভাবমূর্তি আছে, নেতার বক্তব্যে তাতে আঘাত লেগেছে।’

সারদা দেবীকে আধ্য়াত্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবে বেলুড় মঠের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাঁর ৬৭ বছরের জীবনে কখনও কাউকে রূঢ় কথা বলেননি, কারও দোষ দেখেননি। শেষ জীবনে বলে গিয়েছেন, কারও দোষ দেখো না, দোষ দেখবে নিজের।’ স্বামী সুবীরানন্দজি দাবি করেছেন, নেতার বক্তব্যে সারদা দেবীর মর্যাদা হানি হয়েছে বলেই মনে করছেন রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তরা। ভক্তরা হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেল করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মায়ের অসম্মান আমাদের দুঃসহ বলে মনে হচ্ছে।’ কখনও কেউ যাতে এমন মন্তব্য না করেন, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠের তরফে।

এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বেলুড় মঠের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্মল মাজি এমনটা বলেছেন, তা তাঁর সঙ্গে কথা না বলে বলা সম্ভব নয়। তবে বেলুড় মঠ যে এতে মর্মাহত হয়েছে, তাঁদের মন্তব্যকে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, ‘নির্মল ভুল ডায়াগনোসিস করে ফেলেছে।’ তবে বেলুড় মঠ এই ঘটনার নিন্দা করেছে শুনে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘বেলুড় মঠকে আঘাত করা মানে গোটা বাংলাকে আঘাত করার।’ মুখপাত্র নন, তবুও দলের তরফ থেকে বেলুড় মঠের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন বলে উল্লেখ করেন মদন।

কলকাতা : সারদা দেবীই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রূপে জন্ম নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সভায় এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তাঁর দাবি, সারদা দেবী যে দক্ষিণ কলকাতায় জন্ম নেবেন, সে কথা বলে গিয়েছিলেন। নির্মলের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে হয়েছে তুমুল চর্চা। আর এবার শাসক দলের বিধায়কের সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিল বেলুড় মঠ। সারদা দেবী সম্পর্কে ভুল মন্তব্য পেশ করে ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করল বেলুড় মঠ।

কয়েকদিন আগে তৃণমূল বিধায়কের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে নির্মলকে বলতে শোনা যায়, একবার খাল পেরিয়ে হরিশ চ্যাটার্জি রোড হয়েই কালীঘাটে গিয়েছিলেন সারদা দেবী। তিনি বলেছিলেন কালীঘাটের কালীক্ষেত্রেই ফের নাকি জন্ম নেবেন। আর তখন ত্যাগ, তিতিক্ষা, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যাবেন। এখানেই শেষ নয়, পরিসংখ্যান এবং সংখ্যাতত্ত্ব উল্লেখ করেও নির্মল দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সারদা দেবী। তাঁর বক্তব্য, সারদা দেবীর মৃত্যু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের সময়কাল নাকি মিলে যাচ্ছে।

রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ বিবৃতিতে নির্মল মাজির বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রামকৃষ্ণ মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন বা অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রামাণিক নথি হিসেবে যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনওটিতেই এমন তথ্য নেই।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এমন অনেক সন্ন্যাসী বা গৃহী ভক্তের সংস্পর্শে তিনি এসেছেন, যাঁরা কোনও না কোনও সময়ে সারদা দেবীর সান্নিধ্যে এসেছিলেন। তাঁদের মুখেও এমন কথা শোনা যায়নি। বিধায়ক কোথা থেকে এমন ‘অদ্ভুত তথ্য’ পেলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ভক্ত ও অগণিত মানুষের মনে যে ভাবমূর্তি আছে, নেতার বক্তব্যে তাতে আঘাত লেগেছে।’

সারদা দেবীকে আধ্য়াত্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবে বেলুড় মঠের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাঁর ৬৭ বছরের জীবনে কখনও কাউকে রূঢ় কথা বলেননি, কারও দোষ দেখেননি। শেষ জীবনে বলে গিয়েছেন, কারও দোষ দেখো না, দোষ দেখবে নিজের।’ স্বামী সুবীরানন্দজি দাবি করেছেন, নেতার বক্তব্যে সারদা দেবীর মর্যাদা হানি হয়েছে বলেই মনে করছেন রামকৃষ্ণ মিশনের ভক্তরা। ভক্তরা হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেল করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মায়ের অসম্মান আমাদের দুঃসহ বলে মনে হচ্ছে।’ কখনও কেউ যাতে এমন মন্তব্য না করেন, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠের তরফে।

এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বেলুড় মঠের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্মল মাজি এমনটা বলেছেন, তা তাঁর সঙ্গে কথা না বলে বলা সম্ভব নয়। তবে বেলুড় মঠ যে এতে মর্মাহত হয়েছে, তাঁদের মন্তব্যকে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, ‘নির্মল ভুল ডায়াগনোসিস করে ফেলেছে।’ তবে বেলুড় মঠ এই ঘটনার নিন্দা করেছে শুনে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘বেলুড় মঠকে আঘাত করা মানে গোটা বাংলাকে আঘাত করার।’ মুখপাত্র নন, তবুও দলের তরফ থেকে বেলুড় মঠের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন বলে উল্লেখ করেন মদন।

Next Article