Suvendu-Mamata: মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাতে পদ্ম-কর্মীদের ‘বিভ্রান্তি’, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বয়ান চেয়ে চিঠি পাঠালেন বিজেপি নেতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 28, 2022 | 4:43 PM

Mamata-Suvendu Courtesy Meet: কোনওরকম যাতে বিভ্রান্তি না হয়, সেই কারণে একা না গিয়ে সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল, মনোজ টিগ্গাদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার বিভ্রান্তি কাটাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করলেন রাজ্য কমিটির সদস্য রাজকমল পাঠক।

Suvendu-Mamata: মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাতে পদ্ম-কর্মীদের বিভ্রান্তি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বয়ান চেয়ে চিঠি পাঠালেন বিজেপি নেতা
শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়ে এবার চিঠি গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের কাছে চিঠি পাঠালেন দলের বর্তমান রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য রাজকমল পাঠক। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি দিব্যেন্দু অধিকারী শান্তিকুঞ্জে চা খাওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। শুক্রবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিগত দুইদিনে একাধিকবার মুখ খুলেছেন।

তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত করছে বিষয়টিকে। কখনও দাবি করেছেন, তিনি যে প্রণাম করেছেন, তার প্রমাণ দেখাতে। আবার কখনও বলছেন, তিনি এক কাপ চাও খাননি। এমনকী কোনওরকম যাতে বিভ্রান্তি না হয়, সেই কারণে একা না গিয়ে সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল, মনোজ টিগ্গাদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার বিভ্রান্তি কাটাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করলেন রাজ্য কমিটির সদস্য রাজকমল পাঠক।

টিভি নাইন বাংলাকে রাজকমল পাঠক বলেন, “বিরোধী দলনেতা সবসময়ই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু যে বিরোধী দলনেতা সর্বক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁর কাজের নিন্দা করছেন… আমি বিশ্বাস করি না তিনি ষাষ্ঠাঙ্গে সেখানে গিয়ে প্রণাম করবেন। এই পাঁচ মিনিটের সাক্ষাতে কে কীভাবে প্রণাম করল, এটা মিডিয়াতে কীভাবে আসে? নিশ্চয়ই জোরহাত করে প্রণাম করার সংস্কার আছে, কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন, তাতে আমার মনে হয় না শুভেন্দু অধিকারী গিয়ে ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করেছেন। আমি দলকে অনুরোধ করেছিলাম, যাতে শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। নাহলে আমাদের কর্মী ও সমর্থকরা বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন। অনেক বড় বড় নেতা আগেও এসেছেন, চলে গিয়েছেন। আমার এখনও স্থির বিশ্বাস শুভেন্দু অধিকারী এমন কিছু কাজ করেননি।”

সঙ্গে তিনি দিব্যেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন। বলেন, “অধিকারী পরিবার আমাদের সঙ্গে আছেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চা চক্রে আমন্ত্রণ করা… এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে এটি যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে এটি খুবই দুঃখের এবং এটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার দরকার আছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি, যে ধরনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন আছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলেই আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেছি। যেহেতু এটি মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে এসেছে, তাই আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেছি, মিডিয়াকে এই নিয়ে বিবৃতি দিতে অনুরোধ করেছি যে এমন ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি, এটি একটি চাল আমাদের ফাঁসানোর।”

দিব্যেন্দু অধিকারীর কথা আমি বলতে পারব না। তিনি এখনও সাংসদ আছেন, তিনি জিতেছেন তৃণমূলের টিকিটে। তিনি তো এখনও তৃণমূলের লোকেই আছেন। তাই সেটি আমি বলতে পারব না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে ওই পাঁচ মিনিটের সাক্ষাৎকারে কী হল, তা সংবাদমাধ্যমে আশা করি শুভেন্দু অধিকারী বলেননি, বা আমাদের বিধায়করা বলেননি। আমার ধারণা, এটা ওখানে যারা আছে, তারা হয়ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে বিজেপিকে খাটো করার জন্য এটি করেছে। এখন অন্যথা যদি কিছু হয়ে থাকে, সেই কারণে আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছি সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি স্পষ্ট বয়ান দিয়ে কর্মীদের মনের দ্বিধাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।”

Next Article