কলকাতা: “বিজেপি কখনওই মুসলিম (Muslim) বিরোধী নয়। মুসলমান ভাই-বোনদের এটা বোঝাতে চাইছি।” কিছুদিন আগে বাংলায় এসে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। এ কথা বলতে গিয়ে টেনে এনেছিলেন গুজরাট, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে বিজেপির জয়ের প্রসঙ্গও। মিঠুনের দাবি ছিল, মুসলিমরা ভোট দিয়েছিলেন বলেই এত আসনে জিততে পেরেছিল বিজেপি। তাঁর আরও দাবি, মুসলিমদের এতদিন মিথ্যা বোঝানো হয়েছিল। সে ভুল ভাঙছে। তবে কী এবার সত্যিই পদ্ম শিবিরের প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছে রাজ্যের সংখ্যালঘুরা? পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) বহু সংখ্যালঘু প্রার্থীর কথা তুলে সেটাই যেন বলতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতে তিনটি স্তর মিলিয়ে বিজেপি এবার ৬৫০ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সংখ্যাটা আরও বাড়ত। কিন্তু, তৃণমূলের ভয়েই সেটা হয়নি। অনেকে চাইলেও দাঁড়াতে পারেননি। এদিকে মোটের উপর প্রার্থী চিত্রে দেখা যাচ্ছে যুবক ও মহিলাদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তাতে খুশি বাংলার বিজেপি নেতারা। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি চালস নন্দী বলছেন, “সংখ্যালঘুরা বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। এটা আমাদের কাছে বড় আশার আলো। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।” তাঁর সাফ দাবি, সংখ্যালঘুদের মন থেকে বিজেপি সম্পর্কে ভীতি কাটছে। তিনি স্পষ্টই বলছেন, “বেশি দিন আর সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে রাখা যাবে না।”
বিজেপি সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদেই বিজেপির সংখ্যালঘু প্রার্থী সবথেকে বেশি। পিছিয়ে নেই বীরভূমও। প্রসঙ্গত, সমাজের সংখ্যালঘু অংশের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বিজেপির উপর মহল কিছুদিন আগেই বড় নির্দেশ এসেছিল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাছে। তারপর রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে ভিড়তে দেখা গিয়েছে বহু সংখ্যালঘু কর্মীদের। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “সংগঠন বাড়ছে। ভুল ধারণা বদলে এবার সংখ্যালঘুরা বিজেপির কাছে আসছে। অন্য দলেরা এদের ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করে। কিন্তু, বিজেপির লক্ষ্য সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন।” অন্যদিকে বিজেপি এবার পঞ্চায়েত নিবাচনে ৬৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে নির্বাচনে তা ছিল ৪৬ শতাংশ। এখন দেখার ভোটের ফল কী বলে।