কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয়ের পর অর্জুন সিং। দল ছেড়েছেন আরেক সাংসদ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে অস্বস্তি পদ্ম শিবিরে। অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে যোগদানের পর কী হবে পদ্ম শিবিরের স্ট্র্যাটেজি? কোন পথে এই দলবদলের মোকাবিলা করবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব? তা নিয়ে আলোচনায় নিউটাউনের নামী হোটেলে বিজেপি বৈঠক করবে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, সাংসদের কোটা থেকে পর পর দু’জন কমে গেল পদ্ম শিবিরে। ফলে অস্বস্তি তো বেড়েইছে পদ্মশিবিরে। সেক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব সাংসদদের দলবদলের ইস্যুটি নিয়ে যতই বেপরোয়া মনোভাব দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন, ব্যাপারটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে পদ্মশিবির। কারণ আর দু’বছর পর লোকসভা নির্বাচন। অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ধাক্কা খেল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিঃসন্দেহে মেনে নিতে হবে। সূত্রের খবর, আরও তিন-চার জন সাংসদ যে পা বাড়িয়ে রেখেছেন, সে খবর আগেভাগেই টের পেয়েছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল থেকে এসেছিলেন।
বাংলায় পদ্মশিবিরে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কী অবস্থা? তা ভালভাবে বুঝে নিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, ভূপেন্দ্র যাদব ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। নিউটাউনে একটি হোটেলে বৈঠক হবে বিজেপির। তৈরি হবে পরবর্তী রণনীতি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এটা স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলা থেকে যে একটা বড় অংশ তাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গা এখন ধাক্কা খেয়েছে। সেই পরিস্থিতি বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব কীভাবে মোকাবিলা করবে, সেটা নিয়েই আলোচনা।