কলকাতা: কথায় আছে বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে (Bengal Global Business Summit) রাজ্যের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’কে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য। সূত্রের খবর, দেশ বিদেশের শিল্পপতিদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাধের প্রকল্পকে প্রথম সারিতে নিয়ে আসতে চায় সরকার। সূত্রের দাবি, এমনও পরিকল্পনা রয়েছে, এই শিল্প সম্মেলনের (BGBS) মঞ্চ থেকেই ‘লক্ষ্মী’দের অর্থাৎ মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই পর্ব হবে ভার্চুয়ালি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন জেলার মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হবে। সম্প্রতি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছেন, সেই সমস্ত নতুন উপভোক্তাদের হাতে এই টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। সোমবার এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এরপরই বিভিন্ন জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন নারী ও সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিব। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলাকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় চমক ছিল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সরাসরি বাড়ির মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০ করে পাঠায়। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তফশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের ক্ষেত্রে এই টাকার অঙ্কটা মাসে ১০০০ টাকা। আবেদনকারীর ব্যাঙ্কে ‘সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট’ থাকলেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
এই প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা যতই সরকারকে কটাক্ষ করুক না কেন, বাংলার মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এখন মহিলাদের একটা বড় অংশ উপার্জন করেন। চাকরি থেকে ব্যবসা, সমস্ত কিছুতেই নিজেদের ছাপ রাখছেন তাঁরা। তবে এমন অনেক মহিলাও রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের সমস্তটা সংসারকেই উজাড় করে দেন। মা, বাবা, স্বামী, সন্তান বাড়ির পাঁচজনকে সমস্ত সময় আগলে রাখা, প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরেই উদয় অস্ত খেটে চলেন হাসি মুখে। কিন্তু তাঁদেরও মনে কিছু সুপ্ত ইচ্ছে থাকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকা তাঁদের কাছে অনেক কিছু। এবার এই প্রকল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে শিল্প সম্মেলনের মঞ্চের কথা ভাবছে নবান্ন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।