কলকাতা: এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব রাজভবনের। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এই রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ তাঁর। সূত্রের খবর, উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত এই চিঠি এসেছে রাজভবন থেকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল। সূত্র মারফত খবর, এই চিঠির পর কী করণীয়, কী সদুত্তর দেওয়া হবে তার প্রস্তুতিও শুক্রবার থেকেই শুরু হবে।
তবে রাজভবন থেকে এই চিঠি আসার পর চিকিৎসক সংগঠন, ৯টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এই তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা চলছে। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক খামতি রয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে জড়িয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের উপরে খবরদারি করছে সেই সংক্রান্তও। কারণ, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল একেবারেই একটি স্বশাসিত সংস্থা। এছাড়া এমনও অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উপাচার্যের স্বামী ও ছেলের ছবিও দেখা গিয়েছে।
এ নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি বলতে পারব না। আমি এরকম কিছু এখনও ওয়েবসাইটে দেখিনি। আগে দেখি তারপর যা বলার বলব।” অন্যদিকে এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখলেও তিনি এখনও কোন উত্তর দেননি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। স্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এমন ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যও নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তুমুল সংঘাত তৈরি হয়। এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগেও নজর।