বাংলার দুই প্রান্ত, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে আবহাওয়ার একটা বড়সড় ফারাক তৈরি হয়েছে। যত বৃষ্টি সব উত্তরবঙ্গে, আর বর্ষার ছিটেফোঁটা লেশ মাত্র দেখা যাচ্ছে না দক্ষিণে। দক্ষিণবঙ্গে ঘর্মাক্ত পরিবেশ। রাস্তায় বেরোলেই ভিজে স্নান করে যেতে হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা। বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
বুধবার থেকে হয়তো উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বেশ কিছু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা।
৮ জুলাই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে। মূলত, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙ ও কালিম্পঙে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ওপর ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। সেখানে বর্ষা অতি সক্রিয়। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
রোদের তেজ তো রয়েছেই, সঙ্গে জলীয় বাষ্পের অত্যাচার। রাস্তায় বেরোলেই ঘেমে স্নান হয়ে যেতে হচ্ছে সকলকে। রাতের তাপমাত্রাও গত ২ দিন ধরে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই থাকছে।
কলকাতা- সন্নিহিত জেলা ও পশ্চিমাঞ্চল, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে সে অর্থে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাসই নেই। সোমবারই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দুপুরের দিকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির জন্য কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ এমনও হতে পারে, এ পাড়ায় বৃষ্টি হলে ওপাড়া হবে না। বিশেষ বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি হতে পারে।