কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ পায়ের চোট বেশ গুরুতর। ছোটো অস্ত্রোপচার হতে পারে। এমনটাই জানা যাচ্ছে এসএসকেএম সূত্রে। আপাতত ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে থেরাপি চলছে। ছোট ছোট থেরাপি এখনও সপ্তাহ খানেক চলতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপর পরিস্থিতি বুঝে একটি ছোটো অস্ত্রোপচার করা হতে পারে। তবে চিকিৎসকদের অনুরোধ সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কাজ খতিয়ে দেখতে আর ময়দানে থাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে বসেই নেত্রী নির্বাচন পরিচালনা করবেন বলেই মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন কোচবিহারের পর জলপাইগুড়িতে সভা ছিল তাঁর। জলপাইগুড়ি থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা ফেরার কথা ছিল। সে সময়েই আবহাওয়ার আচমকা বদল। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর চপার। সেভকের সেনা ক্যাম্পে জরুরি অবতরণ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর চপার।
মুখ্যমন্ত্রীর কোমরে ও হাঁটুতে চোট লাগে। বাঁ পায়ের আঘাতটা তাঁর গুরুতর লাগে। লিগামেন্টে চোটের কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে। তবে মানসিকভাবে ভীষণই শক্ত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই নির্বাচন। তাই দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমার পায়ে ও কোমরে চোট লেগেছে। ছোটো ছোটো থেরাপি হচ্ছে। তবে আমি জলদিই বাড়ির বাইরে বেরোব।” তবে তিনি যে নির্বাচনের আগে বাইরে বেরোতে পারছেন না, তার জন্য তিনি ব্যথিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়তো আপনাদের কাছে গিয়ে পৌঁছতে পারছি না। কিন্তু মন ছটফট করছে।” তবে এবারেও যে তৃণমূলই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
তবে সোমবারই বীরভূমে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তাঁর কপ্টার-বিভ্রাট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ হয়ে যেত, নষ্ট হয়ে যেত! এই অবস্থায় আপনাদের আর্শীবাদ ও দোয়ায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছি।”