Bangla NewsKolkata Bengal Panchayat Election: BJP and CPIM both files case in Calcutta High court
Bengal Panchayat Election: এসকর্ট করে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
Bengal Panchayat Election: মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। মনোনয়ন পেশ করার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হলেও, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের ওপরেই ছেড়ে দেয় আদালত।
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us
কলকাতা: মনোনয়ন পেশের পর্ব শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তার আগেই সকাল থেকে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ও সিপিএম। সেই মামলায় পুলিশকে অবিলম্বে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আদালতের নির্দেশ, ক্যানিং-এর প্রার্থীদের বারুইপুরের এসপি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬৬ জন বিজেপি প্রার্থীকে বসিরহাট থানায় যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ভাঙড় ও কাশীপুর থানায় যাবেন সেখানকার বিরোধী দলের প্রার্থীরা।
রাজ্যের তরফে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, ‘এটা কি বাড়াবাড়ি নয়! ভোটে দাঁড়াবেন, অথচ পুলিশ একেবারে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করে দেবে, এটা হয় না।’
রাজ্যের দাবি, মিনাখাঁর সিপিএমের চার জন নেতাকে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার জন্য পুলিশ ডাকাডাকি করেছিল। কিন্তু তাঁরা যাননি। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এটা শুধু একটা জায়গার জন্য করলে হবে না। সব প্রার্থী এক জায়গায় জড় হোক। পুলিশ সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নের জায়গায় নিয়ে যাবে।
রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলুন। যেখানেই এই সমস্যা, সেখানে আগে থানাকে পদক্ষেপ করতে বলুন।”
বুধবার সকাল সকাল ৯ টা থেকে বৃহস্পতিবাক সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত যেখানে ভোটের মনোনয়ন জমা নিয়ে গোলমাল হয়েছে, সেই সব থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ বিচারপতির।
এই নির্দেশে রাজ্য আপত্তি জানানোয় বিচারপতি মান্থার কটাক্ষ, ‘পুলিশের জন্য আপনার উদ্বেগকে বাহবা দিয়েও বলছি সংবিধান রক্ষার স্বার্থে কলকাতা পুলিশ এসকর্ট করে তাদের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। এটা জরুরি।’
হাইকোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকার থানা বা পুলি সুপারের অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। সেখান থেকেই তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
হাইকোর্টে আসা বিরোধী প্রার্থীদের বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড়, বা কাশীপুর পৌঁছে দিতে কলকাতা পুলিশকে ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁরা যাতে সময়ের মধ্যে মনোনয়নস্থলে পৌঁছতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে হাজির থাকা বিরোধী দলের প্রার্থীদের এখনই মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে পুলিশকে নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। বেলা সাড়ে ১২ টায় সব মামলা একসঙ্গে শুনবে হাইকোর্ট।
সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়ন দিতে যাওয়ার আগেই মিনাখাঁয় থানার সামনে থেকে সিপিএম প্রার্থীদের পুলিশের মদতে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।
ক্যানিং এবং গোটা বসিরহাটে মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না, এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, কোনও দলকেই বুধবার থেকে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হচ্ছে না।