Suvendu Adhikari : ‘সীমাহীন দুর্নীতির জন্য বন্ধ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ’, শুভেন্দুর মুখে ধারা ২৭

Suvendu Adhikari : প্রসঙ্গত, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য পাওনার দাবিতে এদিনই আবার দুদিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পথে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। এরইমধ্যে শুভেন্দুর এই মন্তব্যে জোর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।

Suvendu Adhikari : 'সীমাহীন দুর্নীতির জন্য বন্ধ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ', শুভেন্দুর মুখে ধারা ২৭
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 5:44 PM

কলকাতা : কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগে বিজেপিও বাংলায় একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে। এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির জন্য বরাদ্দ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাঁর হুশিয়ারি, এ রাজ্যে আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ, শৌচাগার নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কোনও টাকা মিলবে না। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু সাফ বলছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন, ২০০৫ এর ২৭ ধারা লাগিয়ে দিয়েছে বাংলায়। যেখানে মনরেগা, আবাস যোজনা, শৌচাগার নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার কোনও টাকা আর পাবে না।” ধারা ২৭ কী, তা ব্যাখ্যা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, সীমাহীন দুর্নীতির জন্য আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সিল লাগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ও অর্থ দফতর। গোটা দেশের মধ্যে শুধু বাংলার সরকারের উপরেই এই অভিযোগ উঠেছে। ধারা ২৭ বলবৎ হয়েছে। সে কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আর কোনও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাবে না মমতার সরকার।”

ধরনায় মমতা 

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য পাওনার দাবিতে এদিনই আবার দুদিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য নিয়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একইদিনে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রাপ্য পাওনার দাবিতে জোট বেঁধে পথে নেমেছে বাম-কংগ্রেসও। শুভেন্দুর বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্প হোক আর যাইহোক, মনে রাখতে হবে এগুলো কোনওটাই কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এগুলো আমাদের দেশের মানুষের করের টাকা। কিন্তু, সে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করার মনোভাব বরাবরই রয়েছে। বিজেপি সরকারের আছে তো বটেই।”

শুভেন্দুকে বাংলা বিদ্বেষী বলে তোপ

শুভেন্দুকে বাংলা বিদ্বেষী বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে তিনি বলেন, “শুভেন্দু তো সারাদিন ব্যস্ত থাকেন কীভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা যায় তার পরিকল্পনা করতে। সারাদিন ভাবছেন কীভাবে বাংলাকে বদনাম করা যায়, কীভাবে বাংলার অগ্রগতিকে থমকে দেওয়া যায়। এর আগেও তো তিনি বারবার দিল্লি গিয়ে বলে এসেছেন বাংলাকে যেন তার প্রাপ্য টাকা না দেওয়া হয়। কেন্দ্রের অনেক টিমই বাংলা এসেছে। কিছুই কিন্তু প্রমাণ হয়নি। তারপরও প্রতিহিংসার কারণে বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে।” যদিও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “জনগণের টাকা কেউ পকেটে ঢুকিয়ে নেবে, তৃণমূলের ফান্ডে যাবে, তৃণমূল নেতাদের বাড়ি-গাড়ি হবে এটা তো কোনওভাবেই মানা যায় না। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে ওরা।”