AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সলিসিটর জেনারেল কি বাংলা বিরোধী?’ বাঙালি-অবাঙালি তরজা পিছু ছাড়ল না নারদ মামলাতেও

সলিসিটর জেনারেলকে কটাক্ষ করে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, "মামলার বাইরেও আমরা অনেক কিছু আলোচনা করি। তার মানে এটা নয় যে তা বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।"

'সলিসিটর জেনারেল কি বাংলা বিরোধী?' বাঙালি-অবাঙালি তরজা পিছু ছাড়ল না নারদ মামলাতেও
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 02, 2021 | 4:34 PM
Share

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) উচ্চতর বেঞ্চে ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে নারদ মামলার (Narada Hearing) শুনানি। তবে বুধবার এই মামলায় বাঙালি-অবাঙালি তরজা উঠে আসায় শুনানি অন্য কার্যত অন্য আঙ্গিকে পৌঁছে গেল। যখন শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের একাংশের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দিলেন, ‘কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কি বাংলা বিরোধী?’ কল্যাণের অভিযোগ, আদালতে বারংবার কেন্দ্রের যুক্তি বস্তুত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। যেভাবে গত কয়েকদিন যাবৎ নানা ঘটনার কথা উল্লেখ করে বারবার কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে নিশানায় নেওয়া হয়েছে, সেই কথা মাথায় রেখেই কার্যত এই মন্তব্য করেন কল্যাণ।

নারদ মামলাটি অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করা হবে কি না এই বিষয়টি নিয়েই আপাতত শুনানি চলছে আদালতে। বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলাকালীন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করতে শোনা যায়, ‘সলিসিটর জেনারেল বাংলা বিরোধী।’ অন্তত এমনটাই দাবি সলিসিটর জেনারেলের। যার পালটা দিয়ে এ দিন তুষার মেহতা বলেন, “এটা ইচ্ছাকৃত মন্তব্য। নেতাজি, পরমহংসদেবের বাংলাকে আমরা সম্মান করি। এই মন্তব্যের বিরোধিতা করছি। আমি শুধু তথ্যের উপর করে বলছি সে দিন নিজাম প্যালেসের সামনে কী হয়েছিল।” যা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেউ কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। আদালত এ সব আলোচনার জায়গা নয়।” অন্যদিকে সলিসিটর জেনারেলকে কটাক্ষ করে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, “মামলার বাইরেও আমরা অনেক কিছু আলোচনা করি। তার মানে এটা নয় যে তা বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

আরও পড়ুন: ‘যারা করেছে তাদের দোষ, তদন্ত হওয়া উচিৎ’, দিঘা নিয়ে আধিকারী পরিবারের দিকেই আঙুল তুললেন মমতা?

মামলাটির শুনানি চলাকালীন অবশ্য কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, ৪ অভিযুক্ত জামিন পাবেন কি পাবেন না সেটা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। কিন্তু বিচারব্যবস্থাকে বিকৃত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সাংবিধানিক কোর্ট সে দিন ঘটে যাওয়া গুণ্ডামির বিচার করবে কি না সেই প্রশ্নও ছুড়ে দেওয়া হয় বিচারপতিদের সামনে। পালটা বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে বলতে শোনা যায়, “সে দিন আপনারা ভাল করে (জামিনের) বিরোধিতা করতে পারেননি। এখন আবার বিচারকের নিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলছেন!” তুষার মেহতার পালটা বক্তব্য, “আমরা কেস ডায়রি পাইনি তাই ভালভাবে বিরোধিতা করতে পারিনি।” মামলাটির শুনানি আগামিকালও জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানই কি কাল হল বিজেপির? বাংলায় হারের কারণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা পড়ল শাহের কাছে