Murshidabad: পেঁয়াজের বীজের আড়ালে কী আনা-নেওয়া হত, মিনারুলের চালচলন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে গোয়েন্দাদের
Murshidabad: মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সুতির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিল কারা। তাদেরর কাছে বৈধ কোনও নথি ছিল না।
মুর্শিদাবাদ: বাংলাদেশের অশান্তির আবহেই বাংলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া আব্বাস ও মিনারুলকে ঘিরেই এখন বাড়ছে সন্দেহ। তাঁদের চালচলন, কারবার খুব একটা সুবিধের ছিল না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে তাঁদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আর এবার একে একে সামনে আসছে তাদের কার্যকলাপের কথা।
ধৃতদের মধ্যে মিনারুল প্রায়ই অসম যেতেন। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি অসম থেকে পেঁয়াজের বীজ নিয়ে আসতেন। সেগুলো এলাকার কৃষকদের দিতেন। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালেই যে কী চলত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অনুমান করা হচ্ছে, সামনে পেঁয়াজের কারবার বলে মনে হলেও আদতে তার পিছনে ছিল অন্য গল্প।
পেঁয়াজের বীজের ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপে সহযোগীদের যাতায়াত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অসম থেকে প্রায়ই লোক আসতেন মিনারুলের বাড়িতে। অসম থেকে ধৃত নুর ইসলাম ও মুজিবুর রহমানের আনাগোনা ছিল মুর্শিদাবাদে। আব্বাসের সহযোগী মিনারুল এলাকায় পাম্প সারাইয়ের কাজের পাশাপাশি পেঁয়াজের বীজের ব্যবসা করত। অসম থেকে বীজ এনে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হত।
আরও জানা গিয়েছে, মিনারুল ও আব্বাসের মধ্যে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানে তাদের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হত।মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে। সুতির সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেছিল কারা। তাদের কাছে বৈধ কোনও নথি ছিল না। সুতি এলাকায় তাদের বৈঠক হয়েছে। তিন দিনের ছিল বাংলাদেশের ওই স্লিপার সেল।