Priyanka Tibrewal: মনোনয়নের আগেই ভাইকে হারালেন প্রিয়াঙ্কা, ‘বড় দাদা’র মতো আগলে রাখলেন শুভেন্দু
Priyanka Tibrewal: মনোনয়ন পর্ব জুড়ে যেন 'বড় দাদার' বড় প্রিয়াঙ্কাকে আগলে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: ঠিক যে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধের দামামা তিনি বাজালেন। সে দিনই চরম দুঃসংবাদ নেমে এল তাঁর পরিবারে। কথা হচ্ছে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে নিয়ে। সোমবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। আর সোমবারই প্রাণ হারিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার নিজের ভাই। সম্ভবত সেই কারণেই মনোনয়ন পর্ব জুড়ে যেন ‘বড় দাদার’ বড় প্রিয়াঙ্কাকে আগলে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খোদ নন্দীগ্রামের বিধায়ককেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায়।
সোমবার মনোনয়ন পর্ব শেষে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, “প্রিয়াঙ্কার ভাই হায়দরাবাদে চিকিৎসা চলছিল। একটু আগেই খারাপ খবরটা এসেছে। এই অবস্থাতেও প্রিয়াঙ্কা আপনাদের সহযোগিতা করেছে। খুব কম বয়স ছিল ওঁর ভাইয়ের। খুবই মন খারাপ করা খবর।”
আপনজনকে হারানোর দুঃখ বা বেদনার বহিঃপ্রকাশ অবশ্য প্রিয়াঙ্কার শরীরী ভঙ্গিতে এ দিন দেখা যায়নি। নিজের আবেগ চেপে রেখেই বারবারই ভোটযুদ্ধে জয় করার বিশ্বাস তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে। মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে হুঙ্কারের সুরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “রাজ্যে হিংসা বন্ধ করতে হবে। হিংসার খুনি খেলা বন্ধ করতে হবে। ভবানীপুরের মানুষ একবার ভোট দিয়েছিল। সেটাই ছিল গণতন্ত্র। যেটা মানতে হবে। কিন্তু জোর করে আবার মুখ্যমন্ত্রী ভোট করাচ্ছেন। কারণ ওঁর চেয়ারে বসার জেদ আছে।”
মমতাকে একহাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, উনি ভাবেন যে ওঁর পার্টিতে আর কেউ নেই যে কুর্সিতে বসতে পারে। সে জন্যই শুধুমাত্র চেয়ারটা ধরে রাখার জন্য এই ভোট করালেন। অন্যদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য, “আমি তো কেবলই একটা প্রতীক ছিলাম। পদ্মফুল চিহ্নে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলাম। মানুষ ওঁকে হারিয়ে দিয়েছে। ভবানীপুরেও মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, বুথে যদি ছাপ্পা না করতে পারে, নির্বাচন কমিশন যদি ভোটটা করায়, তাহলে এই আসনেও পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে জয়লাভ করবেন।”
আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: একবালপুরের মসজিদে ইমামদের সঙ্গে বৈঠক মমতার, সঙ্গে গেলেন ফিরহাদও
জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কাদেবীর ভাই দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসাধীন ছিলেন হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগেই তিনি খবর পান, ভাই আর নেই। তা সত্ত্বেও ভেঙে পড়েননি মমতার বিরুদ্ধে থাকা এই প্রার্থী। বরং তিনি জানিয়ে দেন, ভোটের লড়াই থেকে তিনি সরে আসবেন না। এই কঠিন সময়ের মধ্য়ে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-সহ বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী প্রিয়াঙ্কার পাশে ছিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এঁদের সকলেই প্রিয়াঙ্কাকে আগলে রাখেন।
আরও পড়ুন: Covid Vaccine: একশোয় একশো প্রথম ডোজ় পেল ৩ রাজ্য ও ৪ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজি, NIA’র হাতে তদন্তভার দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক