চারু মার্কেটে ভরত কুমারের শ্বশুরবাড়ি, মেয়েকে ফোনে না পেয়ে চিন্তা বাড়ছে পরিবারের

কলকাতা: নিউ টাউন-কাণ্ডে (New Town encounter) উঠে আসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম ভরত কুমার (Bharat Kumar)। তার কাছ থেকেই জয়পাল, যশপ্রীতদের সন্ধান পায় পুলিশ। জানা যায়, এই ভরত কুমারই কলকাতায় এসে ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করেছিল। আর সেই ফ্ল্যাটেই থাকত দুই মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতী। পাঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভরত কুমার। জানা গিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ি কলকাতায়। সম্ভবত […]

চারু মার্কেটে ভরত কুমারের শ্বশুরবাড়ি, মেয়েকে ফোনে না পেয়ে চিন্তা বাড়ছে পরিবারের
ভরতের শ্বশুরবাড়ি
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 9:17 PM

কলকাতা: নিউ টাউন-কাণ্ডে (New Town encounter) উঠে আসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম ভরত কুমার (Bharat Kumar)। তার কাছ থেকেই জয়পাল, যশপ্রীতদের সন্ধান পায় পুলিশ। জানা যায়, এই ভরত কুমারই কলকাতায় এসে ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করেছিল। আর সেই ফ্ল্যাটেই থাকত দুই মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতী। পাঞ্জাব পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভরত কুমার। জানা গিয়েছে তার শ্বশুরবাড়ি কলকাতায়। সম্ভবত সেই সূত্রেই কলকাতার আটঘাট তার চেনা। কিন্তু চারু মার্কেটের সেই বাড়িতে এখনই শুধুই দুশ্চিন্তার ছায়া। এনকাউন্টারের পর ভরত কুমারের নাম উঠে আসায় পাড়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রে ওই পরিবার। অন্য দিকে, মেয়েকে দিনের পর দিন ফোনে না পেয়ে চিন্তা বাড়ছে মায়ের।

ভরত কুমারের শ্বশুরবাড়ি চারু মার্কেট এলাকার সুলতান আলম রোডে। বছর তিনেক আগে পঞ্জাবের বাসিন্দা ভারতের সঙ্গে বিয়ে হয় ভারতী দে’র মেয়ে পিয়ালি দে’র। বাড়ির অমতেই বিয়ে হয় তাঁদের। ভরতের মোবাইলের ব্যবসা আছে বলেই জানেন পিয়ালির মা। বিয়ের পর একাধিকবার কলকাতায় এসেছে ভরত। কলকাতায় এলে ভরতকে হোটেলে রেখে বাপের বাড়িতে আসতেন পিয়ালী, কারণ এই বাড়িতে ভরতের প্রবেশাধিকার ছিল না।

গত মে মাসের শেষের দিকেও ভরত ও পিয়ালী কলকাতায় আসেন। ভরতের শাশুড়ি ভারতী দেবী মনে করেন, ‘ভরত যদি দোষ করে থাকে তাহলে শাস্তি হবে। যোগ্য শাস্তি হওয়া উচিত। তবে মেয়ের জন্য চিন্তা হচ্ছে। গত ১৫ দিন ধরে মেয়েকে ফোনে পাচ্ছিনা। ফোন বন্ধ। মেয়ে যদি এখন ফিরে আসতে চায় তো আসুক। আমরা কখনই সম্পর্ক মেনে নিইনি। তাই ওই ছেলেটাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতাম না।’

আরও পড়ুন: ‘শুধু রাজীব-কুণাল কি বুদ্ধিমান, আমরা সব গরু-ছাগল!’, তোপ কল্যাণের

জানা গিয়েছে, পিয়ালির আগে একট বিবাহ হয়েছিল। এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। কলকাতায় একটি স্কুলে কাজ করতেন পিয়ালি। মেয়েকে মায়ের কাছে রেখেই একদিন পাঞ্জাবে চলে যান ও ভরতকে বিয়ে করেন। ভরতের সঙ্গে অপরাধ জগতের সম্পর্কের কথা পিয়ালি জানতেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রতিবেশীরাও জানতেন যে পঞ্জাবের একটি ছেলেকে বিয়ে করেছেন পিয়ালি। আপাতত এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবেশীরা আসা-যাওয়া করছেন এই বাড়িতে।