কলকাতা: সময় শেষ! সোমবারই ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhawanipore By-Election) শেষ প্রচারের দিন। আর এই প্রচারে ঝড় তুলতে চলেছে বিজেপি। ভোটের ফলাফল কী হবে তা তো ৩ অক্টোবরই জানা যাবে। কিন্তু ফল যাই হোক না কেন, এমন প্রচার সত্যিই চর্চার। আট ওয়ার্ডের ভবানীপুরে ৮০ জন নেতাকে নামানো হচ্ছে শেষ বেলার প্রচারে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। নিয়ম মতো ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ। সোমবারই বিকেল ৫টার পর প্রচার শেষ। এই প্রচারে বাম-ডান সকলেই ঝড় তুলতে মরিয়া। তবে গেরুয়া শিবির একটু বেশিই উদগ্রীব। সে কারণেই একদিনে ৮টি ওয়ার্ডে ৮০ জন নেতা প্রচার করবেন। সোমবারের প্রচারকে দু’ ভাগে ভাগ করা হবে। প্রথমটি সকাল ৮টা থেকে ১১টা। অন্যটি দুপুর ২টো থেকে ৫টা।
এই ‘মেগা প্রচার’ নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। রবিবার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে-
১. স্থানীয় ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনের ৮টি ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।
২. এই প্রচার কার্যক্রম দু’টি ভাগে বিভক্ত করে চলবে। সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। আবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই প্রচারে ভবানীপুর নির্বাচনী এলাকার ৮টি ওয়ার্ডে ৮০টি স্থানে ৮০ জন বিজেপি নেতা প্রচার করবেন।
৩. এই প্রচার মূলত এই উপনির্বাচনের গুরুত্ব ও নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁদের মূল্যবান ভোটটি না দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল যে নিজেদের ক্ষমতা বলে ভোট করাচ্ছে তা বোঝানো হবে।
৪. বাংলার বহু কাঙ্খিত পরিবর্তনের জন্য ভোটারদের উৎসাহিত করাও এই প্রচারের অন্যতম উদ্দেশ্য।
৫. বাংলা এমন মেয়েকেই চায় যে তাদের দুঃখ দুর্দশায় পাশে দাঁড়াবে। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল তেমনই একজন।
৬. স্থানীয় ভোটারদের বোঝানো হবে বাংলার সম্মান পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব তাঁদেরই কাঁধে। নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার পরও ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতন্ত্রের সারমর্মকে যিনি লজ্জিত করেছেন তাঁকে গদিচ্যুত করতেই হবে।
এদিন প্রথম অর্ধের প্রচারে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, দেবশ্রী চৌধুরী, সুভাষ সরকার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রূপা গাঙ্গুলি, স্বপন দাশগুপ্ত, সৌমিত্র খাঁ, বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, অশোক দিন্দা, অশোক কীর্তনিয়া, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষ ও বিমান ঘোষ।
রবিবারই প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বলেন, “আপনি বলছেন ভবানীপুরের ভোট গোটা দেশকে পথ দেখাবে। ভবানীপুরের ভোট তো আপনি নিজে চাপিয়েছেন। নিজের স্বার্থে। আপনার দলের ২১৩ জন বিধায়ক, অথচ কেউ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো পেলেন না। কারণ এটা দল না, প্রাইভেট কোম্পানি। আপনি মালকিন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ম্যানেজিং ডিরেক্টর। আপনার মতো মিথ্যা কেউ বলে না।”
যদিও যদুবাবুর বাজার থেকে অভিষে বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দেগেছেন, “এরা ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, যাত্রা পার্টি। আমাদের কাট ছাঁট গুলো নিয়ে থাকুন। সেটাই ভাল। ইডি, সিবিআই আমার কাঁচকলা করেছে কাঁচকলা করবে। ক্যামেরার সামনে বলে যাচ্ছি। যারা কাগজ মুড়ে টাকা নেয়, তাদের কিছু না, আর আমায় নোটিস। কাগজ কলম ফুরিয়ে যাবে, তবু মাথা নত করব না।”
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: সারপ্রাইজ ভিজিট! রবিবার রাতে নতুন সংসদ ভবনের কাজ দেখতে হাজির মোদী