Bidhannagar: অফিসের ডেস্কে বসেই এসব! ধর্মতলার কর্পোরেট সংস্থার একটা শিফটের গোটা টিমকেই থানায় তুলে আনল পুলিশ

Ranjit Dhar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 10, 2024 | 2:24 PM

Bidhannagar: কোনও সময় সরকারি নথি এবং সরকারি অধীনস্থ সংস্থার নথি তাকে দেওয়া হয়। বেশকিছু দিনে অভিযোগকারী এই চক্রকে ২কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।

Bidhannagar: অফিসের ডেস্কে বসেই এসব! ধর্মতলার কর্পোরেট সংস্থার একটা শিফটের গোটা টিমকেই থানায় তুলে আনল পুলিশ
গ্রেফতার অফিসের কর্মীরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ওঁরা তো নেহাতই কর্মী, মূল চক্রী অন্য কেউ! তবুও ওঁদের থেকেই ‘মালিকের’ খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই গোটা অফিসে যতজন কর্মী ছিলেন, প্রত্যেককেই থানা তুলে আনল পুলিশ। কলকাতা থেকে গ্রেফতার ১২ জন কর্মী। কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসে এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দারা ধর্মদেব মণ্ডল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানান যে, তাঁর এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয় যে নিজেকে মোবাইল টাওয়ার ইনস্টলেশন কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ পরিচয় দেয়। সেই ব্যক্তি অভিযোগকারীকে প্রতিশ্রুতি দেয় তার জমিতে একটি MNC টাওয়ার ইনস্টল করা হবে। এরপরই তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নথি তৈরির কথা বলে টাকা নিতে থাকে ওই চক্র।

কোনও সময় সরকারি নথি এবং সরকারি অধীনস্থ সংস্থার নথি তাকে দেওয়া হয়। বেশকিছু দিনে অভিযোগকারী এই চক্রকে ২কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পেরে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে গত ৯ তারিখ রাজারহাটের বাসিন্দা নিরুপম মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসবাদ করে পুলিশ জানতে পারে টাওয়ার বসানোর প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরির একটি চক্র কলকাতায় রয়েছে। এরপরই কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ ফেয়ারলি প্লেস এলাকার একটি অফিসে হানা দেয় বিধাননগর পুলিশের সাইবার শাখা। সেখান থেকে ৭ জন মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অফিসে ভুয়ো কল সেন্টার চালু করে সাধারণ মানুষদের টাওয়ার বসানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করত এই চক্র।

ভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের মূল পান্ডার খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

Next Article