Salt Lake Fake Call Centre: হ্যান্ডসাম চেহারা, ব্রিটিশ অ্যাকসেন্টে অনর্গল কথা, সল্টলেকের অফিসে হানা দিতেই চোখ কপালে পুলিশের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 27, 2022 | 3:08 PM

Salt Lake Fake Call Centre: ফোন করে টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ওয়েবসাইট বিক্রি, ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করে প্রতারণা করত এই চক্র। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

Salt Lake Fake Call Centre: হ্যান্ডসাম চেহারা, ব্রিটিশ অ্যাকসেন্টে অনর্গল কথা, সল্টলেকের অফিসে হানা দিতেই চোখ কপালে পুলিশের
সল্টলেকে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ

Follow Us

কলকাতা: আন্তর্জতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের একটি ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বিদেশি নাগরিকদের ঠকিয়ে বিদেশি মুদ্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করত এই চক্র, তেমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকে সেক্টর ফাইভের একটি ভবনে তিনটি সংস্থার অফিস চালাচ্ছিল এই চক্র। সেখান থেকেই ইউকে, ফ্রান্স, জার্মানির নাগরিকদের প্রতারণার জালে ফাঁসানো হত। ফোন করা হত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদেরও।

ফোন করে টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ওয়েবসাইট বিক্রি, ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করে প্রতারণা করত এই চক্র। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে রবি কুমার প্রসাদ, মহম্মদ কলিব তানবির, রেয়াস ফার্নান্ডেজ, দেবজ্যোতি দাস, ফাইজাল নাসিম ও মোহম্মদ আক্রমকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু হার্ড ডিস্ক, মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, ডেটা বুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তের বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে সূত্রে খবর। এই চক্রের মূল চাঁইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

সেক্টর ফাইভে অফিস খুলে বিদেশি নাগরিকদের মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ডাটা লিস্ট তৈরি করে, সেই লিস্ট ধরে ‘ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল’ (Voice Over IP) ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করত অভিযুক্তরা। বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ভাবে টাকা লেনদেন হত। পরবর্তী সময়ে সেই বিদেশি মুদ্রা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেত। এমনটাই পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। প্রতারণা চালানোর জন্য বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করা হত। সেই সব ডিভাইসগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে সাইবার শাখার পুলিশ।

Next Article